Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়ানস্টপ সার্ভিসের আওতায় মিলবে ২৩ সেবা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

এক ছাদের নিচেই মিলবে কোম্পানির নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ ২৩টি সেবা। এর মাধ্যমে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় অনুমোদনসহ বিভিন্ন সেবা নিতে আর নানা প্রতিষ্ঠানে ঘুরতে হবে না।

কয়েক বছর ধরেই বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান ও গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজীকরণে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বেপজার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। এ পরিপ্র্রেক্ষিতে প্রণয়ন করা হয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন ২০১৮। আইনটি বাস্তবায়নে ২৩ জুন জারি করা হয়েছে বেপজার ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস বিধিমালা ২০১৯’।
গত ২৫ জুন প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হওয়া বিধিমালাটির আলোকে মোট ২৩টি সেবা দেবে বেপজা। ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটসহ এসব সেবার মধ্যে রয়েছে- কোম্পানি নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশন, পরিবেশগত ছাড়পত্র, অগ্নি নিরোধ সংক্রান্ত সেবা ও ছাড়পত্র, শুল্ক ও কর সংক্রান্ত সেবা, নারকোটিক্স লাইসেন্স, আমদানি-রফতানি মালামাল, কনটেইনার ও কার্গো খালাস এবং ছাড়করণ, শিল্প-কারখানার গ্যাস সংযোগ, টেলিফোন সংযোগ স্থাপন, বিস্ফোরক লাইসেন্স, বয়লার সংক্রান্ত, ব্যাংকিং সেবা, অ্যাসিড পরিবহন।
বেপজার ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় আরো আছে, বিভিন্ন কমিটিতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি মনোনয়ন, নিরাপত্তা সহায়তার প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রেরণ, ডিউটি ফ্রি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, সুপারি-সিগারেট ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ফাইটোস্যানিটারি সনদপত্র প্রদান, গ্যাস লাইটার বা অন্যান্য বিপজ্জনক পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি ইস্যু এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা।
বেপজার জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, বেপজা এতদিন ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিত, কিন্তু কিছু বিষয়ে বিভিন্ন পরিদপ্তর বা অধিদপ্তরে যেতে হতো। বিনিয়োগকারীরা এখন শুধু বেপজার কাছেই প্রয়োজনীয় সেবাটি চাইবে; কোনো অধিদপ্তরে যাওয়া লাগবে না। আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় সময়সীমার মধ্যে দ্রæতই সেবাটি পাওয়া যাবে আশা করা যায়। এটি হলে ব্যবসা সহজীকরণ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের সুনাম বাড়বে।
প্রকাশিত বিধিমালা অনুযায়ী, বেপজা প্রদত্ত ২৩টি সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। সেবা দিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় সংস্থাকে তাৎক্ষণিক থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচটি সময়সীমা নির্ধারিত আছে বিধিমালায়।
এর মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট প্রদানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য নির্ধারিত সময় ২১ দিন; কোম্পানি নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজে যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও কোম্পানির নিবন্ধকের কার্যালয় ন্যূনতম এক থেকে সর্বোচ্চ চারদিন; ট্রেড লাইসেন্স ও ট্যাক্স সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশনের জন্য একদিন।
এছাড়া পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানে সবুজ ও কমলা ‘ক’ শ্রেণীর কারখানার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর সময় পাবে সর্বোচ্চ সাতদিন। কমলা ‘খ’ শ্রেণীর কারখানার জন্য ২০ দিন এবং লাল শ্রেণীর কারখানার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর সময় পাবে ৩০ দিন। অগ্নি নিরোধ সংক্রান্ত সেবা ও ছাড়পত্র দিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সময় পাবে সেবার ধরন ভেদে ১০ থেকে ২১ দিন।#####

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ