বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাইকোর্টে এসে দু:খ প্রকাশ করলেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২’র বিচারক মো. আল মামুন। স্থগিতাদেশ সত্তে¡ও বৃদ্ধা রাবেয়ার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এবং বিচারপতি মো. রিয়াজউদ্দিন খানের ডিভিশন বেঞ্চে মৌখিকভাবে দু:খ প্রকাশ করেন। তবে তাকে লিখিতভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়। আদেশের পাশাপাশি এ বিচারককে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয় ১৭ জুলাই।
বিচারক মো. আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল। রাবেয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম নোবেল।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল এক আদেশে হাইকোর্ট ১৮ বছর আগে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় শতবর্ষী রাবেয়া খাতুনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। মামলার নথি তলব করে বিচার বিলম্বের ব্যাখ্যা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়। গত ১৫ মে পরবর্তী আদেশে ২৬ জুন রাবেয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তার আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। এছাড়া এপিপিকে হাজির হতে বলেন। আদেশ অনুযায়ী গতকাল আদালতে বিচারক মো. আল মামুনও হাজির হোন। এ সময় ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন এবং এপিপি সাহাব উদ্দিন মিয়াও উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত সাহাবুদ্দিন মিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। শুনানিকালে আদালত বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিচার বিভাগের (জুডিশিয়ারির) অংশ। আপনাদের সুনাম মানে বিচার বিভাগের সুনাম, আর আপনাদের দুর্নাম মানে বিচার বিভাগের দুর্নাম। গতকাল রাবেয়ার পক্ষের শুনানিতে মো. আশরাফুল আলম নোবেল রাবেয়া খাতুনের জাতীয় পরিচয়পত্র আদালতে উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে মামলার সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী জুলহাস জীবিত নাকি মারা গেছেন- এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।