Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকাকে একটি স্বস্তির শহরে পরিণত করতে হবে

নাগরিক সমাবেশে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ব্যক্তিস্বার্থে নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে ঢাকা শহরকে একটি স্বস্তির শহরে পরিণত করতে হবে। গতকাল সায়েন্স ল্যাবরেটরির অদূরবর্তী ও মিরপুর রোড-গ্রিন রোড সংযোগস্থলে সৌন্দর্যবেষ্টিত সুদৃশ্য ‘অর্ঘ্য’ সড়কদ্বীপটি দখলদারমুক্ত করার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রিন ভয়েস, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, হেরিটেজ ক্রিয়েটিভ কাউন্সিল, ব্ল প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, প্রতিসৃষ্টি ও নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে কর্মস‚চি অনুষ্ঠিত হয়।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ঢাকাকে শুধু যানজটের শহরে পরিণত হতে দেয়া যাবে না। মেয়র মহোদয়কে আমন্ত্রণ করছি, তিনি যেন এ জায়গাটি দেখেন এবং বিআরবির পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে এই সুন্দর সবুজে ঘেরা দ্বীপটিকে কোনোভাবেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে না দেন।

বিশিষ্ট শিল্পানুরাগী, নাট্যকার, অভিনেতা মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এবং বাপার জীবন সদস্য ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহম্মেদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য প্রদান করেন- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাবেক সচিব গীতিকবি ভূঁইয়া শফিকুল ইসলাম, বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, প্রকৃতি ও নগর সৌন্দর্যবিদ রাফেয়া আবেদীন, প্রতিসৃষ্টির সভাপতি সংস্কৃতিজন শাহরিয়ার সালাম প্রমুখ। এ ছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাপার নির্বাহী সদস্য ডা. মো. নুরুদ্দিন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ইবনুল সাঈদ রানা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রজেক্ট অফিসার সামিউল হাসান সজিব, গ্রিন ভয়েসের সদস্য তানজিলা আলমসহ স্থানীয় জনগণ ও পথচারীবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা দেশকে ভালোবাসি। দেশের পরিবেশ-প্রতিবেশকে ভালোবাসি। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সুস্থ পরিবেশ প্রয়োজন। পরিবেশের সঙ্গে জড়িত নদী, পানি, বন, গাছপালা, পশু, পাখি, কীটপতঙ্গ। কারা যেন শুধু টাকার জন্য ঢাকা শহরটাকে একটা কংক্রিটের শহর বানাতে ব্যস্ত, তারা ঢাকা শহরের মানুষ এবং পশু, পাখি, কীটপতঙ্গের উপস্থিতি সহ্য করতে পারছে না। তাদের এ জঘন্য মানসিকতাকে ধিক্কার জানাই। তাদের ষড়যন্ত্রের হাত এবং লোভের পরিধি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, যার জন্য তারা মানুষ-পরিবেশ, প্রকৃতি কিছুই বুঝতে চাইছে না। তিনি অতি দ্রুত সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়কে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখান থেকে বিআরবি ক্যাবলকে সরে যাওয়ার জন্য বলেন।

নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, আজ আমরা এখানে প্রকৃতি ও সবুজে বেষ্টিত সড়কদ্বীপটি ধ্বংসের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দাঁড়িয়েছি। বিআরবি ক্যাবল সরকারের ছত্রছায়ায় এটা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, আমরা দেশের উন্নয়ন চাই, কিন্তু উন্নয়নের কারণে পশ্চাৎগামিতা চাই না। তিনি বলেন, বিআরবি ক্যাবল উন্নয়নের শীর্ষে উঠুক, তবে পরিবেশকে ধ্বংস করে নয়। আমরা জানি, এখানে একটা পেট্রলপাম্প ছিল যার মালিক ফজলুর রহমান, তিনি আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি। তার কাছ থেকে এ জায়গা কিভাবে নিয়েছেন তা দেশবাসী জানেন। এই ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলেও এটাকে রক্ষা করা আজ সরকারের দায়িত্ব। আমাদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তাই আমি মেয়র মহোদয়ের নিকট আশা করি, তিনি অতিদ্রুত বিআরবি ক্যাবলকে এখান থেকে সরিয়ে দিয়ে মেয়র হিসেবে তার দক্ষতা ও বিচক্ষণতা প্রমাণ করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ