বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীর আলোচিত নূসরাত হত্যা মামলার মতোই বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কিভাবে, কত তাড়াতাড়ি সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নুসরাত হত্যা মামলার বিচারের কাজ শুরু হয়েছে- আপনারা দেখেছেন। ওই মামলার বিচার যেভাবে শুরু হয়েছে সেভাবেই আলোচিত সব মামলার অতি সত্তর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। এইসব মামলার পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়ামাত্র বিচার কাজ শুরুর জন্য প্রসিকিউশনকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে গুলশানস্থ আবাসিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন্রে জবাবে তিনি এ কথা জানান। সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহ’র সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ ব্রিফ করেন। বৈঠক সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, মামলাজট আমাদের একটি বড় সমস্যা। এটি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলা জট সমস্যাটা সিঙ্গাপুরেও ছিল। সেটি ওই দেশ সুচিন্তিতভাবে নিরসন করেছে। বাংলাদেশের মামলা জট কমাতে আমরা সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারি। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী মহল বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। হাই কমিশনার জানিয়েছেন , বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্পর্কিত আইন ও পরিবেশ তাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল। তাই সে দেশ থেকে প্রচুর বিনিয়োগ এ দেশে আসছে। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য অনেক বিনিয়োগ বান্ধব আইন করা হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। বিনিয়োগকারী বিদেশী কোম্পানীগুলো কেবল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেই ১০০ শতাংশ মুনাফা নিয়ে যেতে পারেন, যেটি আর কোন দেশে নেই। এমন অনেক সুযোগ সুবিধা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করলে পাওয়া যায়।
আনিসুল হক বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমরা অনেক বিনিয়োগ বান্ধব আইন করেছি এবং প্রয়োজন হলে আরো করবো। বিনিয়োগকারী বিদেশী কোম্পানীগুলো কেবল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেই ১০০ শতাংশ মুনাফা নিয়ে যেতে পারেন, যেটি আর কোন দেশে নাই। এমন অনেক সুযোগ সুবিধা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করলে পাওয়া যায়। হাইকমিশনারও এটা স্বীকার করেছেন। তারপরেও এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে বিনিয়োগের পরিবেশ আরো উন্নত করতে প্রয়োজন হলে আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা সংশোধন করবো। তার কারণ আমরা বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ চাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিঙ্গাপুর হাই কমিশনার ডেরেক লোহ বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে তাদের রাজনীতি ও ব্যবসা পরিচালনা করে সেটিকে পাশে রেখেই আমরা দুই দেশ নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করতে পারি। আমি মনে করি, এ দেশে বিনিয়োগের জন্য এটিই আমাদের মূলনীতি। বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। বৈঠকে বিনিয়োগ, সম্পর্কোন্নয়নের বিভিন্ন উপাদান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের আইনসংক্রান্ত বিষয়, সেগুলোর আধুনিকায়ন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীসহ বিভিন্ন বিষয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাইকমিশনার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।