পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২৪ বছর আগে ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলা সম্পূর্ণরুপে বানোয়াট ও সাজানো বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে নিজ দলীয় লোকদের দিয়েই ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু সৃষ্টি করা হয়েছিল, যা সর্বজনবিদিত। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগের জুড়ি মেলা ভার। দীর্ঘ ২৪ বছর পর এই রায় ঘোষণায় প্রমাণ হয় যে, সরকারের ক্রমপ্রসারমান ফাঁসির দড়ি এখন বিএনপি’র নিবেদিপ্রাণ নেতাকর্মীদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধী দল, মত নিশ্চিহ্ন করণে নাৎসীবাদী আয়োজনের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। সরকারের নির্দেশে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়। বুধবার ( ৩ জুলাই) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের ওপর অব্যাহত জুলুমের পরেও বিএনপিকে নিস্তেজ তো করা যায়ইনি বরং জনসমর্থনের বিপুল বৃদ্ধিতে সরকারের হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়েছে। কা-জ্ঞান লোপ পেয়ে এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কায়দায় দুনিয়া থেকে নির্মূলে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। ২৪ বছর আগের ট্রেনে গুলি-বোমা হামলার সাজানো ঘটনায় আদালতের রায়ের মাধ্যমে একটি বিষয় সুষ্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ভোগ-লালসায় অস্থির সরকার তাদের গদি টিকিয়ে রাখতে নানা ধরণের সর্বনাশা নীলনকশা প্রণয়ন করে রেখেছে।
তিনি বলেন, যতই দিন যাচ্ছে ততই একের পর এক সরকারের হিং¯্র রুপের প্রকাশ ঘটছে, মানবিক বিবেচনাগুলো পদদলিত করা হচ্ছে। পাবনার আদালতের রায়ে সরকারের নিষ্ঠুর দানবীয় রুপের আরো একটি নতুন চেহারা দেখা গেল। দেশব্যাপী আদিম সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতন ও তাদের আগুণে নিক্ষেপ, স্ত্রীর সামনে স্বামীকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা, কিশোরীকে নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দৃষ্টান্ত শুধুমাত্র এই সরকারের আমলে সর্বত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং সরকারি দলের লোকদের দ্বারাই এই সমস্ত রক্তাক্ত অনাচার দেশব্যাপী সংঘটিত হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশব্যাপী অত্যাচার, নিপীড়ণ, লুন্ঠন, দখল এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, এগুলোকে আড়াল করতেই ২৪ বছরের পুরনো একটি সাজানো মিথ্যা মামলায় বিএনপি’র স্থানীয় নেতাকর্মীদের জড়িয়ে আদালতকে ব্যবহার করে এই নির্দয় রায় দেয়া হয়েছে। সরকার ক্ষমতাসীন হয়েই নি¤œ আদালতকে কব্জায় নিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে যে নির্মূলের নীতি অবলম্বন করেছে, এই রায় সেটিরই ধারাবাহিকতার অংশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছর পর এই রায় ঘোষণার ঘটনা শুধু হাস্যকরই নয়, এটি একটি সুদুরপ্রসারী মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান। অবিলম্বে এই ফরমায়েসী রায় প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।