প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সিনেমায় দীর্ঘদিন ধরেই দুর্দশা চলছে। কোনো সিনেমাই আশানুরূপ ব্যবসা করছে না। বিষয়টি সবারই জানা। তবে সিনেমা ব্যবসা কতটা দুরবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে গাণিতিক হিসেবে তা অনেকে জানেন না। কোটি টাকার ওপরে ব্যয় করে নির্মিত সিনেমায় যদি কোটি টাকা লস দেয়ার কথা হয়তো অনেকের জানা নেই। যেসব প্রযোজক লগ্নি করেন তারাও খুব একটা বলেন না। লস দিয়ে নীরবেই চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেন। একটি উদাহরণ দেয়া যাক। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৩৯ টি সিনেমা হলে মুক্তি পায় তারেক শিকদার পরিচালিত এবং বাপ্পী চৌধুরী, বিদ্যা সিনহা মিম ও আঁচল অভিনীত দাগ হৃদয়ে নামের সিনেমাটি। নির্মাণের শুরু থেকে মুক্তি দেয়া সিনেমাটির ব্যয় দাঁড়ায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মতো। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন কামাল আহমেদ। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, সিনেমাটিতে বিনিয়োগকৃত অর্থের মধ্যে ফেরত পেয়েছেন মাত্র ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫ লাখ টাকা তার লস হয়। কামাল আহমেদ বলেন সিনেমা হল থেকে তেমন কোনো টাকাই পাইনি। মিনিমান অ্যাডভান্সে ৩৯ হলে মুক্তি দিয়ে ৭ লাখ টাকার মতো পেয়েছি। মুক্তির আগে পরিবেশনা, পোস্টার, ব্যানারসহ আরও খরচ হয় ৮ লাখ টাকা। এছাড়া যেসব হলে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয় সেখানে দিতে হয়েছে মেশিন ভাড়া। ডিজিটাল রাইট (ইউটিউব) থেকে পেয়েছি ৬ লাখ টাকার মতো। এছাড়া টেলিভিশন স্বত্ব বিক্রি করে পেয়েছি ৪ লাখ টাকার মতো। দু-একটা ¯পন্সর ছিল। তা থেকে পেয়েছি ২ লাখ টাকার মতো। ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সিনেমায় ২ লাখ টাকার ¯পন্সর কোনো টাকাই না। এ টাকায় পোস্টার, ব্যানার, মেশিন ভাড়াই হয় না। শুক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে পরিমাণ সেল হয়েছিল সেটা আরও হতাশাজনক। বাধ্য হয়ে সাড়ে চার লাখ টাকায় সিনেমাটি বিক্রি করে দেই। এছাড়া প্রোডাকশন ম্যানেজার ও অন্যান্যদের পারিশ্রমিক দিতেই চলে যায়। সবমিলিয়ে কোটি টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে। ক্যাশ পেয়েছি ১৪ লাখ টাকার মতো। তিনি বলেন, সিনেমা মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে পলিসি একটা বড় ভূমিকা রাখে। এ সময়ে অনেক নির্মাতা সিনেমা মুক্তির পলিসি জানেন না। ফলে শুধু আমি নই, কোনো প্রযোজকই তেমনভাবে টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। আমার সিনেমাটি মুক্তির আগে একজন নামী প্রযোজক তার সিনেমা মুক্তি দিয়ে লগ্নিকৃত টাকা তো পানইনি, উল্টো ৩ লাখ টাকার দেনাদার হয়েছেন। গত ৫ থেকে ৭ বছর ধরে এই অবস্থাই চলছে। চলচ্চিত্রের এই দুরবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে সরকারি হস্তক্ষেপ খুবই জরুরী। ই-টিকেট, সেন্ট্রাল সার্ভার সবকিছুই দরকার। যেখানে চলচ্চিত্রের লোকজন এবং সরকারি লোকজনের সমন্বয় লাগবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।