পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বত্র তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অনলাইন পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ছাত্রছাত্রীরা এখন মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারছে। এখন আর কলেজ ক্যাম্পাসে ভর্তি নিয়ে বাণিজ্য হয় না, মারামারি হয় না। কেউ লাঞ্ছিতও হয়না। পাশাপাশি অভিভাবকদের হয়রানি ও ভোগান্তিও কমেছে। কলেজে ভর্তিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনলাইন পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমূখ।
শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার আহŸান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধেও সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে সোচ্চার হতে হবে। সর্বোপরি নিজেকে একজন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
দীপু মনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতিকে সব সময় না বলতে হবে। কারণ এগুলো দেশের জন্য অভিশাপ। এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। পাশাপাশি এর ভয়াল সম্পর্কে শিক্ষকরাও ক্লাসরুমে ছাত্রছাত্রীদের ধারণা দিবেন। তাহলেই আমরা আমাদের দেশটিকে কাক্সিক্ষত স্থানে নিয়ে যেতে পারব। এসময় মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন বলেন, মেধা ও যোগ্যতা ছাড়া এখন এর কিছু অর্জন করা যায় না। প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এক সময় এই ঢাকা কলেজেও তদবিরের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া যেতো। এখন তা আর সম্ভব নয়। সব কিছুই এখন অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এরফলে একাদশে ভর্তিতে এখন শৃঙ্খলা ফিরেছে। শিক্ষার সবখানেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পরিচালনা করবে আজকের এই তরুণরাই। তাদের নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও সততা নিয়ে গড়ে উঠতে হবে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখতে শিখতে হবে। স্বপ্ন বাস্তিবায়নে কঠোর পরিশ্রম, মানসিকতা, জীবনের প্রথম দিক থেকে সৎ জীবন যাপন করার চিন্তা করতে হবে। প্রতিদিন ভাল একটি কাজ করার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা লিখার অভ্যাস করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।