বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার হিড়িক চলছে। প্রতিদিন গণমাধ্যমে বেরিয়ে আসছে লোমহর্ষক নানা ঘটনা। এসব নারকীয় ঘটনার বেশীর ভাগই ঘটাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা। দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকায় গুম, খুন, ধর্ষণ, বিচারবহির্ভূত হত্যার হিড়িক চলছে। সামাজিক অপরাধপ্রবণতা সকল যুগের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য ও বেকারত্বের কারণে কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। নারকীয় উল্লাসে তারা দেশব্যাপী খুনের উৎসবে মেতে উঠেছে। বর্বরের দল শঙ্কা আর শিহরণের পরিস্থিতি তৈরী করে সমাজকে নৈরাজ্যের ছায়ায় ঢেকে দিয়েছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়লেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা বলছেন-এত সুন্দর পরিবেশ দেশে আগে কখনও ছিলনা। মন্ত্রীরা ঠিকই বলেছেন, কারণ জালিমশাহীর হিংস্র আঁচড়ে দেশে কবরের শান্তি বিরাজ করে, তাতে নির্ভয় শান্তির পরিবেশ বিরাজ করে না। দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা ক্রমাগত এই ধরনের নিষ্ঠুর রসিকতা করে যাচ্ছে। গতকাল (সোমবার) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বরগুনায় রিফাত শরীফের খুনিরা ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়েই ক্ষমতাধর ও ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই নেতা ও এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং একই আসনের সাবেক এমপি, বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের লোকজন এ লোমহর্ষক ঘটনায় জড়িত। রিফাত শরীফ হত্যার মূল আসামি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী। হত্যা মামলার মূল আসামিরা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের চিরচেনা দুই প্রতিপক্ষের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বরগুনায় এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। রিফাত শরীফের হত্যাকারী রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। দেলোয়ার হোসেনের প্রশ্রয়েই এ দুই ভাই রিফাত হত্যার মতো অপরাধ সংঘটনে দুঃসাহসী হয়ে ওঠে। ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথের ছত্রছায়ায় রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডসহ অন্যরা বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। মামলার চার নম্বর আসামি চন্দন ও ছয় নম্বর আসামি মো. রাব্বি আকন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তারা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য। এ ছাড়া কিলিং মিশনে অংশ নেয়া আরেক যুবক সুহার্ত বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাবুর ছেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি থেকে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে-ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিটিং মিছিলে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
প্রতিবাদ কর্মসূচি আজ
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী জেলা সদর ও মহানগরগুলোতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এছাড়া একই দাবিতে ঐদিন ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।