Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভাঙনে চার শতাধিক পরিবার নিঃস্ব

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকে মোশাররফ হোসেন বুলু | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

জানা যায়, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নদী ভাঙনে উপজেলার চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও বেলকা ইউনিয়নে প্রায় চার শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর ও তিন শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামের ঠাকুরডাঙ্গী গ্রামে রাস্তা নদীতে ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। পানি যত বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীভাঙন তত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বেলকা ইউনিয়নে এ পর্যন্ত এক শত পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নে তিন শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বসতবাড়ি, আবাদি জমি হারিয়ে ভাঙন কবলিত লোকজন হতশায় ভুগছেন। ভাঙনে বেগুন, মরিচ, পটল, করলা, বাদাম, ঢেঁড়স ও পাটসহ নানা ধরণের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এলাকার কৃষকগণ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, এ পর্যন্ত ২৫০ পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আরো অনেক তথ্য এখনও পাইনি। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নদী ভাঙনরোধের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হওয়ায় ভাঙনরোধে বিভিন্ন পরিকল্পনা অব্যাহত রয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, নদী ভাঙন কবলিতদের ত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ