বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘এরশাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য টাকা নেই’ পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার এমন বক্তব্যে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। নেতাকর্মীদের বৃহৎ অংশ মনে করে, তার এই বক্তব্যে দলের চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেশবাসীর সামনে খাটো করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় ও কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ নিয়ে চলছে বিতর্ক। নেতাকর্মীরা মহাসচিবের এমন বক্তব্যে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। একে অন্যের সঙ্গে আলোচনায় এমন বক্তব্যকে এরশাদের জন্য ‘চরম অপমান’ মন্তব্য করছেন।
বৃহস্পতিবার মশিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় সংসদে অধিবেশন চলাকালে এমন বক্তব্য দেন। এর আগে জাপার বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায়ও একই ধরনের বক্তব্য রাখেন তিনি। রাঙ্গার এ বক্তব্যে দল ও দলের বাইরে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাঙ্গার বক্তব্য ও ভূমিকা নিয়ে জাপার নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
’৯০-এর দশকে প্রথম দুই টার্মে এইচ এম এরশাদ জেলে থাকা অবস্থায় এমপি নির্বাচিত হন। তারপর থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। গত আওয়ামী লীগ সরকারে এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ছিলেন। চলতি সংসদে তিনি বিরোধী দলের নেতার দায়িত্বে রয়েছেন।
জি এম কাদের এরশাদের চিকিৎসার বিষয়ে বলেন, আমাদের দলে অর্থসঙ্কট থাকলেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অর্থের সঙ্কট নেই। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে। পিএম উইল টেক কেয়ার। মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, অর্থের অভাবে এরশাদের উন্নত চিকিৎসা করা যাচ্ছে না, এ বক্তব্যের জবাবে জি এম কাদের বলেন, এ কথা সঠিক নয়।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি বলেন, এরশাদ সাহেবের চিকিৎসা করতে টাকা লাগে না। সিএমএইচে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা চলছে। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তিনি সব সুবিধা পান। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অর্থসঙ্কট হবে না।
এ প্রসঙ্গে পার্টির অর্থ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার বলেন, অর্থের অভাবে এইচ এম এরশাদের উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না- এ কথাটি সঠিক নয়। এইচ এম এরশাদের পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। এ ছাড়া এইচ এম এরশাদ যে ট্রাস্ট গঠন করেছেন, সেখানে নগদ ১০ কোটি টাকা রয়েছে। সেখান থেকে তিনি অর্থ উত্তোলন করতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।