Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দেশের ৪৪৮টি ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন করা হচ্ছে

সংসদে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন,স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জন্য বর্তমান সরকার বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করেছে। এ প্লানের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২ হাজার ২৭৯ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুণঃখনন শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এতথ্য জানান। মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন লাভের পর এই বছরের ২৬ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে এর কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৪৪৮টি ছোট নদী ও খালের ৪ হাজার ৮৬ কিলোমিটার পুণঃখনন সম্পন্ন হবে।

গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় কোনো প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আপাতত নেই। সুন্দরবন বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা ও ইউনেসকো ঘোষিত ‘ওয়াল্ড হেরিটেইজ সাইট’ বিধায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এককভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তবে, সুন্দরবন সংলগ্ন নদী-খাল পুনঃখননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি জানান, বাগেরহাট জেলার ৮৩টি নদী-খাল পুনঃখনন এবং মংলা- ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি, খুলনা জেলার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ভদ্রা ও সালতা নদী পুনঃখনন প্রকল্প, খুলনা জেলার ভুতিয়ার বিল এবং বর্ণাল-সলিমপুর কোলাবাসুখালী বন্যা নিয়ন্ত্রন ও নিষ্কাশন প্রকল্প ও ৬৪ জেলার অভ্যান্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার নদী-খাল পুনঃখনন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্যপদ সরকারিদলের সদস্য আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৩ লাখ ৮ হাজার ৩৯২টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদপূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারের ৪ হাজার ৭৯২টি পদে নিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সুপারিশ প্রেরণ করেছে। একই সঙ্গে ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯১৯টি বিভিন্ন ক্যাডারের শূন্য পদে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সার্কিট হাউজে বাবুর্চি পদে কর্মরত কর্মচারিদের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হয় না। তারা ২০তম গ্রেডেভুক্ত (৮,২৫০-২০,০১০) কর্মচারী হিসেবে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন। সার্কিট হাউজে কর্মরত বাবুর্চিদের দক্ষতা ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ