Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

বেতাগীর ডা. আছমত আলী কলেজ

বেতাগী (বরগুনা) থেকে মো. নূরুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

বরগুনার বেতাগী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের যোগসাজসে উপজেলার হোসনাবাদ ডা. আছমত আলী কলেজের ভবন নির্মাণের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ত্রান মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে বরাদ্দকৃত ভবনের নির্মান সামগ্রীর সঠিকভাবে না দেয়ায় গত শনিবার বিক্ষুদ্ধ জনতা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে কলেজ অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। স্থানীয় প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে।

জানা যায়, উপজেলার হোসনাবাদের ডা.আছমত আলী কলেজ এর নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ৬ জুলাই ত্রান মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ২ কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট ভবন বরাদ্ধ হয়। বরিশালের ‘মের্সাস আমির কনস্ট্রাকসন’ নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। শুরু থেকেই ওই ভবনের নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে।

গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভবনের তিন তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। এ সময়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সমানুপাতিক ভাবে সিমেন্ট না দিয়ে, ছাদের অধিকাংশ স্থানে রড না বেঁধে এবং প্রয়োজনীয় পানি ব্যবহার না করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উপস্থিতিতেই ঢালাই কাজ শুরু করে। এতে স্থানীয়রা আপত্তি তোলে এবং ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসার পর কাজ করার অনুরোধ করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারের পক্ষ অবলম্বন করে উপস্থিত লোকজনকে চাঁদাবাজির মামলা করার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি ইউএনও কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যানের চাকরি করি না। এ প্রেক্ষিতে উপস্থিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে কলেজের লাইব্রেরিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ২ ঘন্টা বসিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে বেতাগী থানা পুলিশ, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব আহসান সেখানে তাকে উদ্ধার করেন।

ডা. আছমত আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. মাসুদ আলম বাবুল অভিযোগ করেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঠিকাদারের প্রতি দুর্বলতার কারনে কাজের শুরু থেকেই এ ধরনের নানা অনিয়ম করে আসছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বারবার বলা সত্তে¡ও তিনি এতে কোন কর্নপাত করছেন না। ’

এ বিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জি.এম ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ‘ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়। তবে এ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বিষয়টির অবসান হয়েছে।’
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা মো. রাজীব আহসান বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন যাই। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভুল স্বীকার করায় স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়। পরে ঠিকাদারের সাথে কথা বলে বন্ধ করা ভবনের কাজ সঠিকভাবে করার নির্দেশনা দিয়েছি। ’
এ বিষয় উক্ত ভবনের ঠিকাদার রিপন হাওলাদার বলেন, ‘যেহেতু স্থানীয় প্রশাসন আমাকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছে। আমি সিডিউল মোতাবেক কাজ করার আশস্ত করছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ