Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাম বাড়বে

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৭ পিএম, ২ জুন, ২০১৬

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রতিবছরই প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী পণ্যের দাম নির্ধারণ হয়। এতে করে দাম কমে এমন পণ্যের সংখ্যা হাতেগোনা হলেও যথারীতি বেশ কিছু পণ্যের দাম হুড়হুড় করে বেড়ে যায়। এবারও প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাজেটে তৈরি পণ্যের আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিগারেট, ওয়াশিং মেশিন, আমদানিকৃত চা, মোবাইল সিম ও রিম, সিগারেট তৈরির যন্ত্রপাতি, এয়ারকুলার, ট্রান্সফরমার, ইউপিএস, আইপিএস, বিডি সিগারেটের গুল, জর্দা, তামাকজাত পণ্য, হাতে তৈরি বিস্কুট, ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, মশা মারার ব্যাট, আমদানিকৃত চাল, হোটেল নির্মাণের আধুনিক যন্ত্রাংশ এবং কাগজ ও কাগজজাতপণ্য, মেডিকেলের যন্ত্রাংশ, ইসিজি ও আল্ট্রাসোনোগ্রাম রেকর্ডিং পেপার, বাস ও লড়ির টায়ার-টিউব, ট্যালকম পাউডার, শিশুদের আমদানিকৃত বই, আলু-গম ও ভুট্টার স্টার্চ এবং রাবার।
সিগারেট : এবারের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক হার বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া সিগারেট পেপার ও উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে আগামীতে সিগারেটের দাম বাড়বে। সবচেয়ে বেশি দাম বাড়বে সস্তা দামের সিগারেটের। কারণ নিম্ন স্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক সবচে বেশি বাড়ানো হচ্ছে।
ওয়াশিং মেশিন : এ পণ্যটির আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই বাজেটের পর পণ্যটির দাম বাড়তে পারে।
ট্রাভেল ব্যাগ : বিগত দিনে ট্রলি ব্যাগ, সুটকেস, ট্রাভেল ব্যাগ আমদানিতে সুনির্দিষ্ট এইচএস কোড ছিল না। এর ফলে এসব পণ্য আমদানি আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী বাজেটে এসব পণ্যের এইচএস কোড (৮৩.০২) নির্ধারণ করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
চা : আমদানিকৃত চায়ের দাম বাড়তে পারে। কারণ বাজেটে প্রতি কেজি আমদানিকৃত চায়ের ট্যারিফ মূল্য দুই ডলার নির্ধারণ করে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে আমদানি করা চায়ের দাম বাড়তে পারে। যদিও চা উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চাল : চাল আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে সুগন্ধিযুক্ত চালের দাম বাড়তে পারে। দেশীয় কৃষকদের সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অপটিক ক্যাবল : দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার স্বার্থে ফাইবার অপটিক ক্যাবল আমদানির শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে পণ্যটির দাম বাড়বে।
বই : বই আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক আমদানিতে শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে বইয়ের দাম বাড়বে।
মশার ব্যাট : মশা ও পোকামাকড় নিধনের কাজে ব্যবহৃত ব্যাট আমদানিতে এইচএস কোড সৃষ্টি করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ কারণে পণ্যটির দাম বাড়বে।
এদিকে মৃত্যু সংবাদজনিত বিজ্ঞাপন ব্যতীত পত্রিকায় প্রকাশিত সব ক্লাসিফাইড বিজ্ঞাপনের ওপর বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারপূর্বক ক্লাসিফাইড বিজ্ঞাপনকে ভ্যাটের আওতায় আনার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।



 

Show all comments
  • আরমান ৩ জুন, ২০১৬, ১১:৪৩ এএম says : 0
    ডাবল বেতন বাড়িয়ে সরকার যে গরিব মানুষের উপর রাজস্ব কর বাড়িয়ে গরিব দের উপর চাপ সৃষ্টি করলো এর একটা বিহিট চাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ