বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক ও বাপা’র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, সুন্দরবন রক্ষায় যা যা করণীয় তা করা হবে। এদেশের সকল সম্পদের মালিক শুধুমাত্র সরকার না, জনগণও। তাই জনমত উপেক্ষা করে এদেশের কোন একটি সম্পদের ব্যাপারে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, নেয়া যায়ও না। জনগণের আপত্তি উপেক্ষা করে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা হবে অসাংবিধানিক।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি’র উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ‘সুন্দরবন সুরক্ষায় ইউনেস্কোর সর্বশেষ সুপারিশ, বনের প্রতি সরকারের অবহেলা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ম‚ল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি।
সুলতানা কামাল আরো বলেন, রামপাল ও বন বিধ্বংসী সকল বিষয়ে সরকারের সকল সিদ্ধান্তই বিজ্ঞানবিরোধী ও অযৌক্তিক। সম্ভবত রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হচ্ছে। যেহেতু জনমত উপেক্ষা করে সুন্দরবেন পাশে যে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে তাই সরকারের এ ধরণের সিদ্ধান্ত অবৈধ।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব বলেছে সুন্দরবন একটি বিশ্ব ঐতিহ্য। আর ঐতিহ্য রক্ষা করতে না পারার কারণে বাংলাদেশ যদি অযোগ্যতার পরিচয় দেয় তাহলে তো দুঃখ অপমানের আর কিছু থাকল না। তাই বিনীত ও দৃঢ় আবেদন সরকার যেন তার ভুল অবস্থান থেকে সরে এসে রামপাল প্রকল্প বাতিল করেন। বন বিরোধী সকল স্থাপনা উৎখাত করেন। সেই সাথে বনের প্রাকৃতিক চরিত্রকে সংরক্ষণ, বন সমৃদ্ধ করণে সঠিক পদক্ষেপ নেন।
সুলতানা কামাল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরকার বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট পরিমাণে (কয়লা) বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ তৈরি করেন। আমাদের দেশ হোক সংরক্ষিত প্রকৃতির এক উন্নয়নের মডেল। সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল মতিন, এলআরডি’র পরিচালক শামসুল হুদা, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।