পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে নতুন মাদক ‘আইস’ (ক্রিস্টাল মিথাইল এমফিটামিন) বিক্রি চক্রের এক নাইজেরিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেফতার নাগরিকের নাম আজাহ অ্যানাওচুকওয়া ওনিয়ানুসি। এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় আধা কেজি আইস জব্দ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার খিলক্ষেতের হোটেল লা মেরিডিয়ানের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার সেগুনবাগিচার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে (ডিএনসি) এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা শাখা) মো. মোসাদ্দেক হোসেন রেজা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নাইজেরিয়ান নাগরিক আজাহ অ্যানাওচুকওয়া ওনিয়ানুসি স্টুডেন্ট ভিসায় দুই বছর আগে বাংলাদেশে এসে আশা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে বি ফার্মা সম্পন্ন করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। তবে এর আড়ালে চালিয়ে যান নতুন মাদক আইস (ক্রিস্টাল মিথাইল এমফিটামিন) বিক্রির মূল ব্যবসা। নিষিদ্ধ ডার্ক নেটের সদস্য হয়ে তিনি বাংলাদেশে মাদকের ব্যবসায় জড়ান। শুধু বাংলাদেশেই নয়, আরও ৭-৮টি দেশে আইসের ডিলার হিসেবে ব্যবসা করে আসছিলেন আজাহ।
মোসাদ্দেক হোসেন রেজা বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁদ পেতে বৃহস্পতিবার ৫০ গ্রাম আইসসহ তাকে আটক করা হয়। পরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আই- বøকের ১ নং সড়কের ওয়াসিস সুপ্রিম নামক ৫৪০নং বাড়ির সপ্তম তলায় তার ফ্লাট থেকে আরো ৪৭২ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আজহা অ্যানাওচুকওয়ার জানায়, গত ৫/৬ দিন আগে উগান্ডা থেকে আইসের চালানটি ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় আসে। নাইজেরিয়ায় অবস্থানকারী তার মা সম্প্রতি মারা যাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার চেষ্টায় ছিলেন। সেজন্য তার কাছে থাকা আইস বিক্রির চেষ্টা করে আসছিলেন।
আজাহ অ্যানাওচুকওয়ার আরো জানায়, গার্মেন্ট ব্যবসার জন্য তিনি ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, ভারত, উগান্ডা, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর যাতায়াত করেছেন। এ ব্যবসাকে সামনে দেখিয়ে আড়ালে তিনি আসলে আইসের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। বাংলাদেশে থেকে তিনি ডিলার হিসেবে অন্যান্য দেশেও এসব মাদক সাপ্লায়ার কাজ করে আসছিলেন।
আইসের ভয়াবহতা সম্পর্কে ডিএনসির এ কর্মকর্তা আরো বলেন, আইস ইয়াবার চেয়ে কমপক্ষে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী। একবার আইস সেবন শুরু করলে এ মাদকে নির্ভরতা চলে আসে। বেশি সেবন করতে ইচ্ছে করে সেবনকারীর। ইয়াবার চেয়ে দামও বেশি আইসের। মালয়েশিয়ায় আইস একগ্রামের দাম ১৫ হাজার রিংগিত (৩ লাখ টাকা)। বাংলাদেশে এ মাদকের বাজার ধরার জন্য তা কম দামে অর্থাৎ প্রতি গ্রাম ৭ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিলো। এরইমধ্যে ছোট আকারের একটি ক্রেতা শ্রেণীও তৈরি হয়েছে। এই মাদকের ভয়াবহতা বেশি, মৃত্যুঝুঁকিও ইয়াবার চেয়ে বেশি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে রাজধানীর জিগাতলার এক বাসায় আইস তৈরির কারখানার সন্ধান পায় ডিএনসি। হাসিব মোহাম্মদ মুয়াম্মার রশিদ নামের এক যুবক মালয়েশিয়ায় পড়তে গিয়ে আইস বানানো শেখেন এবং দেশে ফিরে গবেষণাগারের আদলে ওই কারখানা গড়ে তোলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।