পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আগামীকাল পাস হচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের নতুন বাজেট। তবে বাজেট পাসের আগে রাজধানীর বাজারগুলোতে ডিম ও আলু ছাড়া অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কমেছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা। কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাল্লায় কমেছে ১৫ টাকা। এ হিসেবে কেজিতে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমেছে তিন টাকা। পাইকারি বাজারের মতো খুচরা বাজারেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে যেসব বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকা বিক্রি হয়, ওই বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। অর্থাৎ খুচরা বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে পাঁচ টাকা।
বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢেঁড়সের কেজি আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙ্গা, উসি ও ধুন্দুল। পটল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের মতো করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি এবং কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ সবজিগুলোর দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজির দামের বিষয়ে শান্তিনগর বাজারের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, গত সপ্তাহে কিছু সবজির দাম বাড়লেও, আজ (শুক্রবার) নতুন করে কোনো সবজির দাম বাড়েনি। বেশিরভাগ সবজি আগের সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুর রহমান বলেন, ঈদের পর সবজির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। দুই/একটা সবজির দাম কখনও বেড়েছে, আবার কমেছে। বেশ কিছু দিন ধরে অধিকাংশ সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এই বাজারে ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজি ভরপুর আছে। যে কারণে দাম মাঝারি পর্যায়ে আছে। সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আর যেন না বাড়ে। বাজার যাতে কোনো ধরণের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে না চলে, সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত নজরদারির আহŸান জানান তিনি।
সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা দাম বেড়েছে গোল আলু। সপ্তাহের ব্যবধানে গোল আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা। গত সপ্তাহের যেসব বাজারে গোল আলু ১৮ টাকা কেজি বিক্রি হয়, এখন সেখানে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর যে বাজারে ২০ কেজি ছিল, সেখানে দাম বেড়ে হয়েছে ২২ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া ডিমের দামও কিছুটা বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর এক হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকার মধ্যে।
শান্তিনগর বাজারের ডিম বিক্রেতার মো. সুমন বলেন, বাজারে ডিমের সরবরাহ কম, কিন্ত চাহিদা কমেনি। যে কারণে ঈদের পর কয়েক দফায় ডিমের দাম বেড়েছে। চলতি সপ্তাহেই ডজনপ্রতি ডিমের দাম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
সবজির পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচামরিচ ও মুরগির। আগের মতোই কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। আর গরুর গোশত বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকা এবং খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি। কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মাছের দাম এখনও বেশ চড়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।