Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রচন্ড গরমে মরছে শ’ শ’ মুরগি

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বগুড়ার আদমদীঘিতে খামারীরা মুরগী নিয়ে বিপাকে পরেছেন। প্রচন্ড গরমে প্রতিদিন মুরগী মারা যাওয়ায় এলাকায় মাইকিং করে কম দামে মুরগী বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগীর খামারীরা। গত কয়েক দিনে ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার ১শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এদিকে গরমে মুরগী মারা যাওয়া অব্যাহত থাকায় বাজারে কমে গেছে ব্রয়লার ও সোনালী জাতের মুরগীর দাম। বর্তমানে উপজেলার হাটবাজারে ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১১০ টাকা এবং সোনালী জাতের মুরগী ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এলাকার খামারীদের হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ লোকশান পুশিয়ে উঠতে না পারলে অনেক থামারীদের পথে বসতে হবে বলে অনেকে জানিয়েছেন।

উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া গ্রামের খামার মালিক বাবু হোসেন, কিনা হোসেন এবং দমদমা গ্রামের নাজিম উদ্দীন জানান, প্রচন্ড গরম সহ্য করতে না পেরে প্রতিদিন খামারের মুরগী মারা যাচ্ছে। বাজারে মুরগীর দাম কমে গেছে। এ কারনে লোকসান দিয়ে মাইকিং করে মুরগী বিক্রি করতে হচ্ছে। নাজিম উদ্দীন বলেন, গত এক সপ্তাহে তাঁর খামারে ৫০টি মুরগী মারা গেছে। তিনি বলেন, তাঁর খামারে বেশিরভাগ ব্রয়লার মুরগী। এ জাতের মুরগীর গরম ও শীত সহ্য করার ক্ষমতা কম হওয়ায় দ্রত মারা যায়। বাবু হোসেন বলেন, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগীর উৎপাদন খরচ ১শ’ টাকার বেশি পরে যায়। নিরুপায় হয়ে লোকসান দিয়ে মুরগী বিক্রি করতে হচ্ছে। মুরগী ব্যবসায় এমন ধস নামায় খামারীদের পুজি হারিয়ে পথে বসতে হবে। সান্তাহার বাজারের মুরগী ব্যবসায়ি আলম হোসেন জানান, গত কয়েকদিনে ব্রয়লার ও সোনালী জাতের মুরগীর পাশাপাশি দেশী মুরগীর দাম কমে গেছে। ব্রয়লার জাতের মুরগী ১১০ থেকে ১১৫ টাকা এবং সোনালী জাতের মুরগী ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী জাতের মুরগী কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে বর্তমানে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আদমদীঘি উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, আদমদীঘি উপজেলায় মোট ৬৭টি মুরগীর খামার রয়েছে। এর মধ্যে সোনালী মুরগীর খামারের সংখ্য বেশি। তিনি বলেন, ব্রয়লার জাতের মুরগী তীব্র গরমে স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে। প্রতিকার হিসেবে খামার মালিকদের মুরগীর খামার ঠান্ড রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ