Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পাখিমারা-তেগাছিয়া সড়কের করুণ হাল

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) এ এম মিজানুর রহমান বুলেট | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে পাকাকরণের নামে চলছে নানা টালবাহানা। সড়কটি পাকা না হওয়ার কারণে শত শত মানুষ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন। এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেলেও প্রায় দুই কিলমিটার সড়কের মাটি কেটে রেখে চলে যায়। যার কারণে চলাচলে দুর্ভোগ আরও চরমে উঠে।

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাখিমারা বাজার-মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার খেয়াঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এ সড়কটির আওতায় নীলগঞ্জ, মিঠাগঞ্জ, ডালবুগঞ্জ, বালিয়াতলী, ধুলাসার ও লালুয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এ সংযোগ সড়ক হয়ে মহাসড়কে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ রক্ষা করে। এ ছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বন্দর পায়রার মূল জেটিটি এই সংযোগ সড়কটির মাথায় রয়েছে। এ কারনে এ সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম। তেগাছিয়া বাজার-বালিয়াতলী ইউপি হয়ে লালুয়া ইউপি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার পাকাকরন ইতোপূর্বে সম্পন্ন হয়েছে। কেবলমাত্র তেগাছিয়া বাজার খেয়াঘাট-পাখিমারা বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরনের নামে চলছে নানা টালবাহানা। কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তিন কোটি টাকা বরাদ্ধ রেখে বরিশালের মেসার্স সান্টু নামের এক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিলেও ঐ ঠিকাদার কাজে লোকসান হবে বলে কাজ ফেলে রেখে চলে যায়। যার কারনে ঐ ঠিকাদারের ৩০ লাখ টাকা জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান, বিষয়টি ১১৪ পটুয়াখালী-৪ এর এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানে কাছে সড়কটি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। লোকসান হবে বলে কাজ ফেলে রেখে কন্ট্রাকটর চলে যাওয়ায় চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরণ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি উন্নয়নে কেবলই অবহেলিত রয়েছে। মিঠাগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনের চলাচলের একমাত্র পথটি পাকা হওয়া একান্ত জরুরি। সড়কটি পাকাকরণে এলাকাবাসীর দাবি দীর্ঘদিনের।

কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, সড়কটির পুন. টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। ঠিকাদার কাজ না করার কারনে জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বছরেই বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ