রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ব্য চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দালালদের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। রোগী, ডাক্তার, নার্স ও রোগীর স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই দালালদের সাথে রোগী ও তাদের স্বজনদের ঝামেলা হচ্ছে। কোন রোগী হাসপাতালে আসলেই দালালরা তাদের পিছু নেয় এবং কৌশলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রোগীদের বাইরে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পরও চলে রোগীর কাছ থেকে টাকা হাতানোর খেলা। দালালরা তাদের নির্ধারিত ডাক্তারের কাছে রোগীদের নিয়ে যায়। আর তখন এসব ডাক্তার প্রয়োজন না হলেও কমিশনের আশায় দালালদের নিয়ে যাওয়া রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়ে থাকেন এবং এসব পরীক্ষা থেকে ডাক্তার ও দালাল কমিশন পেয়ে থাকেন। ডাক্তারদের সঙ্গে রয়েছে দালালদের সখ্যতা। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা কোন প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্নভাবে লাঞ্চিত ও হয়রানি হতে হয়। বাইরের ক্লিনিকের ২০/২৫ জন দালাল সারাদিন হাসপাতালে থাকে। এদের খপ্পরে পড়ে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজন। ফুলপুর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ব্য দিয়ে বেশ কয়েকবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সেই সাথে ফুলপুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দালালরা রোগীদের সার্টিফিকেট দেয়ার সময়ও হস্তক্ষেপ করে থাকে।
এ ব্যাপারে ফুলপুরের কলতাকান্দা গ্রামের মো. লাহু মিয়া (লালু মিয়া) ডা. তাসলিমা খানমের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলেন, প্রতিপক্ষের রাম দায়ের কোপে তার মাথায় ৩টি গুরুত্বর আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত গুরুত্বর আঘাত নিয়ে ফুলপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। ১১ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর ডাক্তার প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মাথার ৩টি গুরুত্বর আঘাতকে ব্ল্যান্ড সিম্পল লিখে দিয়েছে। যার ফলে সে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তিনি মাথার ৩টি আঘাত শার্প কাটিং গ্রিভিয়াস বলে উল্লেখ করে এমসি সংশোধন ও ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
ফুলপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত গত বুধবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বলেন, ফুলপুর হাসপাতালে দালালদের ইনকাম আমার চেয়েও বেশি। দালালদের কারণে চিকিৎসা সেবা হিমশিম খেতে হয়। দালালদের কিছু বললে স্থানীয়দের রোষানলে পড়তে হয়। এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নেয়ায় হাসপাতালের সুনাম ও স্বাস্থ্য সেবা মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়েছে।
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, হাসপাতালে দালালদের বিরুদ্ধে অভিলম্বে ভ্রাম্যমান আলালত পরিচালনা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।