Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চন্দনাইশের শুকনো শিম বিচির চাহিদা বাড়ছে

যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে এম এ মোহসিন | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও গ্রাম-গঞ্জের পল্লী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের চাষাবাদী জমি ছাড়াও বসত ভিড়ার আনাছে কানাছে তথা বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে শিম চাষি ও গৃহস্থীর গৃহবধূ ও কৃষকরা প্রতি বছর শিম চাষ করে থাকেন। চন্দনাইশের শিম চাষিদে উৎপাদিত এই সব শিম ও শিমের বিচি চন্দনাইশ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে চন্দনাইশ ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার বাইরে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় কৃষকদের উৎপাদিত শিম ও শিমের বিচি রপ্তানি করা হয়। এজন্য কৃষক ও গৃহস্থী শিম চাষিদের কাছ থেকে বেপারিরা কিনে নিয়ে তারা চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। শিম সকলের জন্য প্রিয় একটি সবজি। শিমের বিচি শুকায়ে রেখে বর্ষকালীন সময়ের একটি তরকারি হিসেবে খাবারের উদ্দেশ্যে রেখে দেয় প্রায় পরিবারে। বর্ষকালীন সময়ে যখন কাচা তরি তরকারির অপ্রতুল হয় এ সময় শুকনা শিমের বিচি ও শুকনা ছুটকি একটি সুস্বাধু তরকারি হিসেবে চলে প্রায় পরিবারে। এজন্য শিম চাষের মৌসুমে শিমের বিচি শুকিয়ে রেখে চাষিরা বিক্রি করে। শিম চাষিদের উৎপাদিত কাঁচা শিম বিক্রির পর পরবর্তীতে বেশি বিক্রির জন্য শিমের বিচিগুলো শুকিয়ে রাখে। কাঁচা শিমের মৌসুম শেষ হয়ে গেলে শুকনা শিমের বিচি বেশি দামে হাট বাজারে ও বেপারিদের কাছে বিক্রি করেন। বেপারিরা এসব শুকনা শিমের বিচি কিনে জেলা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চড়া দামে বিক্রির করার জন্য নিয়ে যায়।

চন্দনাইশ উপজেলার পৌরসভার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া ০৮ নং ওয়ার্ডের শিম চাষি মীর আহমদ, আশরাফ আলী, আহমাদুর রহমান ও হারুনুর রশীদের সাথে এ প্রতিবেদক আলাপ কালে তারা অতি উৎসাহে জানান, তারা প্রতি বছর শিম চাষ করে ব্যাপক শিমরে ফলন করে আসছে। বর্তমানে এক গন্ডা জমিতে শিম চাষ করতে কমপক্ষে দুই-তিন হাজার টাকা খরচ হয়। শিমের মৌসুমে কাঁচা বিচি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকায় আর শুকনা বিচি বর্তমান বাজারে বিক্রি হয় ৭০-৮০ টাকা । এই সব চাষিরা জানান তারা বর্তমানে সার, শ্রমিক মজুরি ও পোকা দমনের কিটনাশকসহ সব খরচ মিলিয়ে তারা আয় ব্যয় পুষিয়ে আসতে হিমশিম খেতে হয়। শিম চাষ করে ফলন ভালো হলে শিম ক্ষেত দেখে চাষির মন জুড়ে যায়। অথচ বিক্রির পর আয় ব্যায় হিসেব মিলিয়ে দেখলে তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী মূল্য আসে না।

তারা জানান, সরকারিভাবে এসব চাষিরা সার্বিক সহযোগিতা পেলে তারা শিম চাষে আশানুরুপ ফলন করতে পারবে। কাঁচা তরিতরকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আরিফ ও শিম বেপারি শফিকুর রহমান জানান, শিমের মৌসুমে সব মানুষের কাছে কাঁচা শিম একটি সুপ্রিয় সবজি। এসময় তারা প্রচুর পরিমানে শিম মালিকদের কাছ থেকে কিনে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে তাদের পরিবারে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন কাঁচা তরিতরকারি মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির শিমের বিচির কদর বাড়ে সুস্বাদু তরকারি হিসেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ