Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াকে দিয়ে পাঠ করানো হয়

সংসদে মাহবুব-উল আলম হানিফ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক ছিলেন এটা আমরা স্বীকার করি। তিনি জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে ব্যস্ত ছিলেন। অনেকটা জোর করে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

হানিফ বলেন, এখন সংসদে নতুন করে স্বাধীনতার ঘোষণা যেটা মীমাংসিত বিষয় সেটাকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। নায়ক বানানোর চেষ্ট করা হচ্ছে মেজর জিয়াকে। তিনি বলেন, জিয়া ছিলেন দ্বিতীয় পাঠক। প্রথমে এম এ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। অথচ আজ তাকে নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই জিয়াউর রহমান কখনো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তার কোনো কর্মকাÐে এটা মনে হয়নি। জিয়া দালাল আইন বাতিল করে স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি, দালালদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় দখল করে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বানান। জাতির মধ্যে বিভাজন, বিভক্তি সৃষ্টি করেন। একটি ধারা স্বাধীতার পক্ষের মুক্তিযুদ্ধের ধারা আরেকটি পাকিস্তানি চেতনার ধারা। খালেদা জিয়া এসে এই পাকিস্তানি ভাবধারার নেতৃত্ব দেন।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির আমলে হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে স্যামসাং ও রতন টাটা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসে ফিরে যায়। সে সময় স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসেছিল। কিন্তু হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করে। ভারতের রতন টাটা বিনিয়োগের জন্য এসেছিলেন কিন্তু হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে ফিরে যায়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু

৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ