পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফ নামে এক যুবককে হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আজ দুপুর ২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসারকে বরগুনার ডিসি ও এসপির কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে বরগুনার কলেজ রোড এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট আজ সকালে হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। পরে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
পত্রিকার প্রতিবেদন তুলে ধরে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস আদালতে বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, এখনও মামলা হয়নি। এমন অপরাধের ঘটনার বিচার যদি কোনো কারণে বিলম্ব হয় ও বিচারহীন হয়, তা হলে আরও এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। তবে বিচার হবে আশা করছি।’
আদালত বলেন, ‘প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষটাকে মারল। একজন ছাড়া কেউ এগিয়ে এলো না। জনগণকে আপনি কী করবেন? বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না। ভিডিও করল, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসল না। এটি জনগণের ব্যর্থতা। তাই এই সামাজিক সচেতনতা তৈরি করবে কে? দাঁড়িয়ে দেখেছে, কেউ প্রতিবাদ করল না। পাঁচজন মানুষ অন্তত এগিয়ে আসলে হয়তো তারা সাহস পেত না। হয়তো তারা (দুর্বৃত্তরা) ক্ষমতাবান, হয়তো মানুষ ভয়ে এগিয়ে আসেনি।’
এ সময় আদালত জানতে চান, মামলা হয়েছে কিনা? উপস্থিত এক আইনজীবী বলেন, নিহত রিফাতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এর পর আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসারকে ওই তথ্য বেলা ২টায় আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।