Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বজ্রপাতে নিহত ৩ আহত ১৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৯, ১২:৩৭ এএম

বজ্রপাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ওঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও নীলফামারীর ডোমারে ৩ নারী নিহতের খবর পাওয়া গেছে আহত হয়েছেন প্রায় ১৩ জন। আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত তথ্য:
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানায় : বজ্রপাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ জন নিহত ও ঠাকুরগাঁও সদর হরিপুরে ও বালিয়াডাঙ্গীতে মোট ১১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহতদের মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মধুপুর ফতিয়াপাড়ার নজরুল ইসলামের মেয়ে নারগিছ এর অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহত নারীর নাম সাধিনা রাণী।তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা দোগাছী গাইডগরা গ্রামের ধুরেশ চন্দ্রর স্ত্রী। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান এ খবর নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুষলধারে বৃষ্টিসহ প্রচÐ বজ্রপাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বোগরা মোড়লহাট এলাকার মুক্তারুল এর নুসাবা আক্তার(৩৫), একই উপজেলার হাউদা মালঞ্চ এলাকার আ: করিম এর স্ত্রী রুখসানা, মধুপুর এলাকার নুরল ইসলামের মেয়ে লিজা আক্তার, গোয়ালকারি এলাকার আনারুল এর মেয়ে আশা মনি, বড়বাড়ী গ্রামের লখিন্দর এর স্ত্রী মালতি রাণীও স্কুলহাটের দক্ষিণ মেঝধাপাড়ার নাজের আলীর স্ত্রী জান্নাতুন।

এছাড়াও বজ্রপাতে আহত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ নং চিলারং ইউনিয়নের পাহাড় ভাঙা (জোতপাড়া) গ্রামের মৃত মনকটু’র স্ত্রী দরিমন বেগম ও সদর উপজেলার ১১ নং মহম্মথপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ী গ্রামের আলমগীর এর স্ত্রী দুলালী।
অন্যদিকে, হরিপুর উপজেলায় বজ্রপাতে আহত হয়ে শিশুসহ ৩ জন হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এটি নিশ্চিত করেন হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ। আহতরা বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানায় : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যুসহ দুই জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের উজান তেওড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে এক সন্তানের জননী বিউটি বেগম ঝড় বৃষ্টির সময় গৃহস্থালি কাজে বাড়ির উঠানে গেলে আকস্মিক ভাবে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। বিউটি বেগম মৃত্যুর ঘণ্টা খানেক আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে গিয়ে ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম সরকার জিমি মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। এছাড়া ছাপরহাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামে শ্মশ্বানের মেরামত কাজ করার সময় ওই গ্রামের ঘুটুু বর্মনের ছেলে ইমারত শ্রমিক সুনিল বর্মণ ও মৃত রবি লালের ছেলে অব. পুলিশ কং মথুর লাল বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডোমারে বজ্রপাতে আয়শা বেগমনামে এক নারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধায় উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের দক্ষিন মটুকপুর খামাত পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আয়শা বেগম পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলীর মা ও খামাত পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, সন্ধায় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হচ্ছিল। এ সময় বাইরে রাখা গরুকে গোয়াল ঘরে আনার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে আয়শা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ