Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দুগ্ধশিল্পেই বাঁচবে গরিব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৯, ১২:৩৭ এএম

গত এক দশকে দেশে দুধ উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণ। মাংস উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। এ খাতে বিনিয়োগও বেড়েছে। দেশে দুধের মোট চাহিদার ৩ ভাগের ২ ভাগ এখন দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। বিকাশমান এ শিল্পে দুধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত দেশের সবচেয়ে গরিব মানুষগুলো। দুগ্ধ শিল্পকে বাঁচানো মানে দেশের গরিব মানুষদের বাঁচানো।
জাতীয় ডেইরি উন্নয়ন ফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। গতকাল রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে গুঁড়া দুধ আমদানি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশীয় গুঁড়া দুধ উৎপাদনকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন। তারা গুঁড়া দুধ উৎপাদন বন্ধ করে দিলে গ্রামাঞ্চলের দুধ উৎপাদনকারী লাখ লাখ গরিব খামারি ক্ষতির মুখে পড়বেন।

সংগঠনটির দাবি, আমদানি করা গুঁড়া দুধের ওপর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এই শুল্ক কমপক্ষে ২৫ শতাংশ করতে হবে। তাহলে গুঁড়া দুধ আমদানিতে নিরুৎসাহিত হতে থাকবেন অনেকে এবং দেশে উৎপাদন বাড়তে থাকবেন। এতে দেশের গরিব দুধ খামারিরাও লাভবান হবেন। বাজেট চূড়ান্তের সময় এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে উৎপাদিত গুঁড়া দুধকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিবেচনা করে স্থানীয় সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) শূন্য হারে নিয়ে আসা, গবাদিপশুর খাদ্যের কাঁচামাল আমদানি সহজলভ্য করতে সেগুলোর ওপর থেকে আমদানি শুল্কসহ সবধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করা, ভর্তুকি, ঋণসহ সবধরনের প্রণোদনা দিলে এ শিল্প বিকাশ লাভ করবে, যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।

আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের মঞ্জুরুল রশিদ বলেন, দেশে যারা দুধ উৎপাদন করে, তারা সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক গোষ্ঠী। আমাদের দেশের যারা ক্ষুদ্র খামারি রয়েছেন, দুধ উৎপাদনে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তার মানে, দুধ শিল্পকে বাঁচানো মানে দেশের গরিব যে মানুষগুলো দুধ উৎপাদন করে, তাদের বাঁচানো। তাদের পাশে দাঁড়ানো।

প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সে কর্মসংস্থান তৈরিতেও দুগ্ধ শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও দাবি করা হয়। বলা হয়, দুগ্ধ শিল্পে দেশের গ্রামীণ নারীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ শিল্পের বিকাশে ভবিষ্যতে নারীর কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নও বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতীয় ডেইরি উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, প্রাণ ডেইরির অপারশেন চীফ ড. মো. রাকিবুর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ