Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্নয়নের সঙ্গী করতে হবে বস্তিবাসীদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন ও সামাজিক নিরাপত্তা কোনোটাই নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিশ্চিত হয়নি। নগরের বস্তিবাসী নিম্ন আয়ের মানুষের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ দরকার এবং এর প্রতিফলন এ বছর থেকেই হওয়া জরুরি। বস্তিবাসী ও নিম্ন আয়ের বিশাল অংশকে উন্নয়নের সঙ্গী না করে কোনোভাবেই এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কলাবাগানের পবা কার্যালয়ে আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট : নিম্ন আয়ের মানুষের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে বস্তিবাসীদের জন্য সরকারিভাবে সহজ শর্তে আবাসনের ব্যবস্থা করাসহ বেশকিছু দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন পবা।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি হলে মাথাপিছু গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হজার ৭৭৬ টাকা। কিন্তু এই বাজেটে নগরের গরিব মানুষের কথা কোনো স্থানেই সুস্পষ্টভাবে স্থান পায়নি। ঢাকা শহরে প্রায় ৫ হাজার বস্তি রয়েছে। বারসিকের গবেষণায় দেখা যায়, বন্যা, নদী ভাঙ্গন এবং গ্রামে কৃষিকাজ করে সংসার চালাতে না পারার কারণে অন্য কোনো আয়মূলক কাজ না পেয়ে গ্রাম থেকে শহরের বস্তিতে আসতে বাধ্য হয় মানুষ। বস্তিবাসীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের আবাসন এবং কর্মসংস্থানের সঙ্কট।

বৈঠকের আয়োজক সংগঠনদ্বয়ের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বস্তিবাসীর জন্য সরকারিভাবে সহজ শর্তে আবাসনের ব্যবস্থা, তাদের সকল কাজের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে বেতন কাঠামো ও উৎসব ভাতা নির্ধারণ ও মর্যাদাপূর্ণ কাজের ব্যবস্থা, বস্তির শিশুদের জন্য আনুপাতিক হারে সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা, যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানবান্ধব প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, সব বস্তিবাসীর জন্য ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের ব্যবস্থাসহ নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা।

পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক নেতা ঐক্য ন্যাপের পঙ্কজ ভট্টাচার্য, নগর দারিদ্র্য বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম, গবেষক পাভেল পার্থ, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, বারসিক প্রতিনিধি সুদিপ্তা কর্মকার, বস্তিবাসী ইউনিয়নের নেতা কুলসুম বেগম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ