রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক-মহাসড়কের পাশের গাছে গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের বিজ্ঞাপন। এতে সড়কের গাছগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মরে গেছে অনেক গাছ।
উপজেলার পদুয়া, গুনবতী, জগন্নাথ, ফকিরবাজার, চিওড়া, ধোড়কার, কনকাপৈত, আমজাদের বাজার, বাতিসা, পৌরসভা, হাড়িসদ্দার, বাবুচি, ছুপুয়া, মিরশ্বান্নি, নোয়াবাজার, মিয়াবাজার, কাদৈর, মুন্সিরহাট, শ্রীপুর কাশিনগরবাজা সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ’ শ’ ব্যানার-ফেস্টুন। এসব সাইনবোর্ড ফেস্টুন পেরেক দিয়ে গাছে আটকানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের ফেস্টুন, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের ফেস্টুন। একইভাবে টাঙানো হয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনও।
চৌদ্দগ্রামের বাসিন্দা মো. শাহআলম বলেন, ‘সড়কের পাশের প্রতিটি গাছে পেরেক মেরে ১৫-২০টি বোর্ড টাঙানো হয়েছে। নির্বিচারে পেরেক লাগানোর কারণে সড়কের শতাধিক গাছ মরে গেছে। পেরেক মারা বন্ধ না হলে আরও অনেক গাছ মরবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসার ড. মো. জসিম উদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, ‘গাছের পরিবহন সিস্টেম দু’টি। একটি হলো জাইলেম আর আরেকটি হলো ফ্লোয়েম। পানির সঙ্গে দ্রবীভূত খনিজ লবণও জাইলেম টিস্যুর মাধ্যমে উপরে প্রবাহিত হয়। আবার গাছের পাতা থেকে যে খাদ্য তৈরি হয়, সেটা আবার গাছের ছাল দিয়ে ভেতরে যায়। ছালের নিচে ফ্লোয়েম রয়েছে। পাতা থেকে সেটা গাছের নিচের দিকে আসে। এখন যদি কোনও ধরনের পেরেক মারা হয়, তাহলে ফ্লোয়েম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে পাতায় উৎপাদিত খাদ্য রুটে যেতে পারে না। আর যদি বড় পেরেক মারা হয়, তবে পানি, খনিজ লবণের পরিবহন বাধা পায়। এতে গাছ প্রয়োজনীয় পানি ও খনিজ লবণ পায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাছে পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয় তা দিয়ে পানি ও এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অণুজীব ঢোকে। এতে গাছের ওই জায়গায় পচন ধরে। ফলে গাছের খাদ্য ও পানিশোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। একসময় গাছটি মরে যায়।’
বনবিভাগ সূত্র জানায়, প্রাণিকুলের বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান গাছ। এই গাছের যে প্রাণ আছে, অনুভূতিশক্তি আছে, তা প্রমাণিত। সম্প্রতি মন্ত্রাণালয় থেকে বিজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল গাছে পেরেক মারা যাবে না।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি ৩/৪ দিন আগে যোগদান করেছি। গাছে পেরেক মারা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। বিষয়টি আমি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।