রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাগুরা শহর সংলগ্ন নবগঙ্গা নদী পুনঃ খনন প্রকল্পের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসনের পক্ষে খনন কাজ পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা কমিটি। গত ৬ মাসে কাজের মাত্র ৫০ ভাগ শেষ হযেছে। সেখানে প্রকল্পের নির্ধারিত সময় ২০ জুনের মধ্যে বাকি ৫০ ভাগ খনন কাজ শেষ হবেনা এ প্রশ্ন আগের থেকেই তুলেছেন তারা। এদিকে আসন্ন বর্ষায় নদীতে পানি বেড়ে গেলে খনন কাজের কাংখিত মান কি হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা।
পরিদর্শন দল মাগুরা শহর সংলগ্ন পারনান্দুয়ালী এলাকায় নদী খনন কাজ দেখেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সুফিয়ান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খান মোজাহেদি, সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শফিউল ইসলাম, উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. শাহ আলম, ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
নদী পাড়ের বাসিন্দা আবু জাফর, মমিন শেখ, সেলিনা বেগম, মইনুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান- নবগঙ্গা নদী খননে ঠিকাদারের গাফিলতিতে দীর্ঘ সময় লেগে গেছে। নদীর ভেতরের অংশে স্কেবেটর দিয়ে মাটি কাটার কথা থাকলেও তারা অধিকাংশ সময়ই মাটি না কেটে সময় ক্ষেপন করেছে। এদিকে বৃষ্টির কারণে নদীতে পানি এসে যাওয়া ও সুইস গেট বন্ধ করে দেয়ায় নদীর এ অংশে পানি বেড়ে গেছে। অন্যদিকে পানি বেড়ে যাওয়ার ওজুহাত দিয়ে প্রকল্পের শেষ দিকে এসে তারাহুড়া করে ঠিকাদার দেশীয় অবৈধ ড্রেজার লাগিয়ে নাম কা ওয়াস্তে মাটি কাটছেন। যার ফলে নদীর কোথাও সঠিক মাপে মাটি কাটা হচ্ছে না। দেশীয় এই ড্রেজারে নদীর তলদেশে সমান মাপে মাটি কাটা সম্ভব না বলে অভিযোগ করেন তারা। তাদের মতে এর ফলে সরকারের বিপুল টাকা অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে নবগঙ্গা নদীর উপরে শেখ কামাল সেতুর তলদেশ থেকে মাটি কাটার ফলে সেতুটি ঝুকিতে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
পরিদর্শণ দলের প্রধান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মাহবুবুর রহমান জানান- সরকারের ৪১ কোটি ব্যয়ে এ নদীর ১১ কিলোমিটার খননের কাজে ধীরগতীর অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। গত ২০ জুনের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া সত্বেও তারা তা করেনি। ইতোমধ্যে মাত্র ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীতে পানি বেড়ে যাচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করা না গেলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে। দেশীয় ড্রেজার দিয়ে নদী খননের কাজ চলছে। ভাল মানের ড্রেজার ব্যবহার করা না গেলে কাংখিত মানের ফলাফল পাওয়া যাবে না। বর্তমানে নদী খননের চেয়ে ড্রেজার দিয়ে বালী তুলে বিক্রির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে ঠিকাদার। যা সম্পুর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খান মোজাহেদি জানান, নবগঙ্গা নদী পুন:খনন প্রকল্পটি অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী নদীর চওড়ায় ৮০ মিটার ও গভীরতায় ৪মিটার পর্যন্ত খনন করা হচ্ছে। নদী খননের ফলে শেখ কামাল ব্রিজ যেন কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে নদী খনন কাজের ঠিকাদার মীর সুমন কাজের ধীরগতির কথা অস্বীকার করে জানান, প্রকল্পের যে প্রাক্কলন আছে সে অনুযায়ীই কাজ চলছে। সঠিক সময়ে তারা কাজ শেষ করবে বলে জানালেও তা সম্ভব হচ্ছেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।