বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : সুন্দরবন থেকে শিকার করা বিরল প্রজাতির প্রায় চার হাজার মুনিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আব্দুল জলিলের বাড়িতে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করে।
তবে কোনো শিকারিকে আটক করা যায়নি। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পাখির মধ্যে প্রায় ৪ হাজার মুনিয়া, দুটি টিয়া ও চারটি ঘুঘু রয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজার এলাকার আব্দুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার বাড়ির একটি ঘরে মশারি ও খাঁচার ভেতরে হাজার হাজার পাখি দেখতে পাই। পরে পাখিগুলো ধরে আমাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
তবে চোরা শিকারিরা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে পাখিগুলো সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে। পাখিগুলোর মধ্যে মুনিয়া পাখি একেবারেই বিরল। অন্য পাখির মধ্যে টিয়া ও ঘুঘু রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রায় এক বছর আগে কচুয়া উপজেলার বাধাল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের বাড়ি ভাড়া নেয় রুহুল আমিন (৩৮) নামে এক ব্যক্তি। ওই রুহুল আমিন সুন্দরবন থেকে পাখি শিকার করে এই বাড়িতে রেখে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। চক্রটিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের গহিনে মুনিয়া, টিয়া ও ঘুঘু পাখির বিচরণক্ষেত্র। চোরা শিকারিরা এসব পাখি শিকার করায় দিন দিন তা কমে যাচ্ছে। এই চক্রটিকে শনাক্ত করে আইনে আওতায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।