বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা: অবশেষে এক বছর ১৬ দিন পর রাজ্জাক হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গাজি রহমানের ছেলে হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে তার বাড়ি থেকে সিআইডি ইন্সপেক্টর আ. রহিম তাকে গ্রেফতার করেন।
জেলার সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে প্রায় এক বছর আগে দূরসম্পর্কে চাচার হাতে খুন হন ভাতিজা আব্দুর রাজ্জাক। পুলিশ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমাদিলে বাদী পক্ষ নারাজি দেয়।
আদালত আলোচিত এ মামলাটি পুনঃ-তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গার সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন।
ঘটনার এক বছর পর সিআইডি পুলিশ তদন্তে নেমে রাজ্জাক হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী এবং অন্যতম আসামি সন্দেহে হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জহিরকে গ্রেফতার করে। জহির মাষ্টার গ্রেফতার হওয়ায় এ মামলার অন্য আসামিরা পালিয়ে গেছে।
২০১৫ সালের ১৬ মে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাককে (৩৫) জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে চাচা ইউনুচ ও তার লোকজন। এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের চাচা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বছির উদ্দীনের ছেলে ইউনুছ, গাজিউর রহমানের ছেলে আব্দুল কয়েদ, আমির হোসেন, জামির হোসেন, জহির মাস্টার ও বক্স মন্ডলের ছেলে মহিদুলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত করেন তৎকালীন বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। বাদী ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় লাশের ময়নাতদন্ত এবং মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরের দাবি করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রাজ্জাক হত্যা মামলাটি আরও অধিকতর তদন্তের জন্য চলতি বছর জানুয়ারি মাসে চুয়াডাঙ্গা সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন। রাজ্জাক হত্যা মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সিআইডি পুলিশ তদন্তে নামে।
গ্রেফতারের পরপরই জহির মাস্টারকে আদালতে সোপর্দ করে সিআইডি পুলিশ। এ বিষয়ে সিআইডি ইন্সপেক্টর আ. রহিম বলেন, গ্রেফতারকৃতকে রিমান্ডে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই রাজ্জাক হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জহির মাস্টার গ্রেফতার হওয়ায় মামলার অন্য আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সিআইডি ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম বলেন, এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।