রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সোনারগাঁওয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) বাস্তবায়নে অনিয়মের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। তদন্তে অর্থসংক্রান্ত অনিয়মের প্রমান পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে নোয়াগাও ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ানের বিরুদ্ধে, বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম।
জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নে দুটি মাটির রাস্তা নির্মাণের জন্য মোট ১২ লাখ ১৬ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। ইউনিয়নের নয়ানগর মসজিদ থেকে জয়নাল আবেদিনের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় সাত লাখ ২০ হাজার টাকা। এ প্রকল্পে উপকারভোগীর সংখ্যা ৯০ জন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই রাস্তায় ৯০ জনের পরিবর্তে কাজ করছে মাত্র ১৬ জন উপকারভোগী। কাজ না করিয়েই বাকি ৭৪ জন উপকারভোগীর অর্থ তুলে নেয়া হচ্ছে। একই চিত্র দেখা গেছে এ ইউনিয়নের পেকিরচর মেইন রাস্তা থেকে তোফাজ্জল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে। এ রাস্তা নির্মাণে চার লাখ ৯৬ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ উপকারভোগীর সংখ্যা ৬২ জন। অথচ সরেজমিনে প্রকল্পের কাজে পাওয়া গেছে মাত্র ১১ জন। বাকি ৫১ জন উপকারভোগীকে কাজ না করিয়েই তাদের অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দুটি প্রকল্পের অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে বিগত ১৩ মে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এলাকাবাসী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নয়ানগর মসজিদ থেকে জয়নাল আবদিনের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তায় নির্মাণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, জয়নাল আবদিনের বাড়ি থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ৯০ জন উপকারভোগীর জায়গায় কাজ করছেন মাত্র ১৬ জন উপকারভোগী। ওই রাস্তার মাটি পার্শ্ববর্তী বাড়ির মাটি কেটে রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। প্রতিটি প্রকল্পে উপকারভোগীর সংখ্যা উল্লেখ করে দেয়া হলেও প্রকল্পগুলোতে উল্লিখিত উপকারভোগীর চেয়ে অনেক কম সংখ্যক জনবল কাজে লাগিয়ে পুরো উপকারভোগীর অর্থ তুলে নেয়া হচ্ছে। এসব অর্থ ব্যাংক থেকে উপকারভোগীরা নিজে তুলে নেয়ার কথা থাকলেও এ অর্থ তুলে নিচ্ছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান। এরপূর্বেও নোয়াগাও ইউপি চেয়ারম্যান নদী ভরাট করে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিরীহ লোকজনের জমির অংশ কিনে দখলের অভিযোগ রয়েছে এই চেয়ারম্যানের বিরদ্ধে।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান বলেন, প্রকল্পে কতজন কাজ করছে সেটা বিষয় না। কাজ হচ্ছে কি না সেটাই দেখার বিষয়। সরকার যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে তা দিয়ে কি বর্তমানে শ্রমিক পাওয়া যায়? প্রকল্পে কাজ হচ্ছে কি না সেটাই দেখার বিষয়।
সোনারগাঁও উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) বাস্তবায়নে অনিয়মের তদন্ত ইতোমধ্য শুরু হয়েছে। তদন্তে অর্থসংক্রান্ত অনিয়মের প্রমান পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে নোয়াগাও ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ানের বিরুদ্ধে। প্রকল্পে উল্লিখিত উপকারভোগীদের দিয়েই কাজ শেষ করতে হবে। উপকারভোগী কম-বেশি করার সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।