Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গারা এখনো সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে : পম্পেও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৯, ৬:৫৭ এএম

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা এখনও সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ে তিনি একথা জানান। ওই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক সাংবাদিকদের জানান, তিনি বারবার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আর ট্রাম্প প্রশাসন রোহিঙ্গা শিবিরের মানুষদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। মিয়ানমারের এই সেনা অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ আখ্যা দেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। শুক্রবার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা এখনও সেনাবাহিনীর হাতে সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে। এর কারণে লাখ লাখ মানুষ পালাতে অথবা জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে’। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক জানান, শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও অনেক অনেক কিছু করতে হবে আর রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আরও চাপ প্রয়োগের দরকার রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতি হলো তাদেরকে নিরাপদে ফেরার অনুমোদন দিতে হবে আর মিয়ানমারে সুরক্ষিতভাবে বসবাস করতে দিতে হবে। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এবং অবস্থান। আমি মনে করি এগুলো এগিয়ে নিতে আমাদের আগ্রাসী হওয়া অব্যাহত রাখতে হবে’। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই ধর্মীয় কূটনীতিক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে জাতিসংঘ যা করছে তাতে আমরা সমর্থন করছি, তবে আমি মনে করি বিশ্ব স¤প্রদায়ের উচিত বিষয়টি খেয়াল রাখা’। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্ব পর্যন্ত এসব রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা দিয়েছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ