Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই বছরেও চালু হয়নি সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ফরিদপুর থেকে নাজিম বকাউল | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

১৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ভবনগুলো বুঝিয়ে দেয়ার পর পৌনে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ দিকে ৫০ শয্যার হাসপাতালের এ স্থাপনাগুলো অরক্ষিত অবস্থায় থাকায় সেখানে সংগঠিত হচ্ছে নানা ধরণের অপরাধ। লুটপাট হয়ে যাচ্ছে ভবনের আসবাবপত্র। এ অবস্থায় অবিলম্বে হাসপাতালের কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর জানান, সালথা উপজেলা চার লক্ষাধিক লোকের বসবাস, যাদের স্বাস্থ্য সেবায় আজো চালু করা সম্ভব হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে জেলার সমন্বয় সভাসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। তিনি দাবি করেন, হাসপাতালের এ উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, সালথা উপজেলার চার লাখ মানুষকে স্থান ভেদে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়, যা রীতিমত অনেক কষ্টকর এলাকার মানুষের জন্যে।

ফরিদপুরের স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাহাবুল আলম জানান, উপজেলার বালিয়া গোট্রি এলাকায় এ একর জায়গার উপরে তিনটি প্যাকেজে ১৮ কোটি ৮০লাখ টাকা ব্যায়ে সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। ৫০ শয্যার বেডের এ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সাথে। তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে কমপ্লেক্সে মোট পাঁচটি ভবন বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনসহ অন্যান্য স্থাপনা ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ করা ভবনগুলো বুঝে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো এনামুল হক বলেন কমপ্লেক্সে সীমানা প্রাচীর ও আরো একটি কোয়ার্টার প্রয়োজন। তিনি জানান, জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টসহ কার্যক্রম অনুমোদনের জন্যে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে, কিন্তু কোন ধরণের প্রতিউত্তর অদ্যবদি পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, অনুমোদন ও কাঠামো অনুযায়ী জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, ভবনগুলো অব্যাবহৃত থাকায় সেখানে সংগঠিক হচ্ছে নানা ধরণের অপরাধ। স্থানীয়রা জানান, বাউন্ডারি ওয়াল এবং নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার পর সেখানে উশৃঙ্খল যুবদের আড্ডা বসে। মাদকদ্রব্য সেবনসহ নানা অনৈতিক কাজ সংগঠিত হয়। এছাড়া ভবনের জানালার গ্লাস ভাঙচুর, বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড, ও ছাদ দিয়ে দরজা ভেঙে ভবনের মধ্যে প্রবেশ করে বৈদ্যুতিক ফ্যানসহ সরঞ্জামাদি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনবি ভবনের স্যানিটেশনের পয়নিস্কাশনের পাইপও খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ