পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষক সমিতির নেতৃবৃৃন্দ বলেছেন, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারীদের পক্ষে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বোরো মৌসুমে কৃষকের নীট ক্ষতি সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সেখানে তাদের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে কৃষিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি করেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করতে হবে এই দাবিতে ২১ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী ‘দাবি পক্ষ’ পালন করছে কৃষক সমিতি।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়, ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারিভাবে খাদ্যগুদাম নির্মাণ, জাতীয় বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো, বিএডিসিকে সচল করা, কৃষকদের সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহারসহ কৃষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কৃষক সমিতির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষক নেতা নিমাই গাঙ্গুলী, বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষকরা তার ফসলেরর লাভজনক দাম পাচ্ছে না, মধ্যস্বত্বভোগী, ফড়িয়া দালাল চাতাল মালিক এবং দলীয় টাউটদের হাতে কৃষকরা জিম্মি হয়ে আছে। অন্যদিকে সরকার কৃষিবান্ধব নীতির কথা বলে কৃষকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করছে। দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষের জীবিকা যেখানে কৃষির ওপর নির্ভরশীল সেখানে বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ মাত্র ৪ শতাংশ। কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ, লুটপাট ও সরকারের ভুল নীতির কারণে যখন কৃষকের ত্রাহি অবস্থা তখন কৃষিতে ভর্তুকি না বাড়িয়ে বরং সংকোচন নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমদানি-রফতানি নীতিমালা কৃষকের পক্ষে গ্রহণ করতে হবে, খোদ কৃষকের কাছ থেকে ফসল কিনতে হবে, কৃষকের বিরুদ্ধে সকল সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার এবং বিএডিসিকে সচল করতে হবে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন, আগামী ২১ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত কৃষকের ‘দাবি পক্ষে’ সারাদেশে মিছিল-সমাবেশ, ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কৃষকের উপরোক্ত দাবিসমূহ সরকারের কাছে পেশ করা হবে। দাবি মানা না হলে কৃষকদের নিয়ে আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।