Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কালিদহে-তুলাবাড়িয়া সড়কের বেহাল দশা

ফেনী থেকে মো: ওমর ফারুক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

ফেনী সদর উপজেলার ৬নং কালিদহ ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কের বেহাল অবস্থা। এই ইউনিয়নের কিছু রাস্তা গত কয়েক বছর ধরে মেরামত না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সরে জমিনে দেখা যায়, কালিদহ ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের তুলাবাড়িয়ায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম মন্দির সংলগ্ন পুকুরের পাশে অবস্থিত ১২ফুটের রাস্তাটি ভেঙ্গে এখন ৪ ফুট রাস্তায় পরিনত হয়েছে। রাস্তার মাটি সরে গিয়ে পিলার গুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে, গ্যাস লাইনের পাইপ বেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

স্থানীয়রা জানায় এ রাস্তাটি প্রায় ১০ বছর ধরে ভাঙ্গাছড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। পাশে দুইটি স্কুলের প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। সব মিলিয়ে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী আরো জানান,দুই বছর আগে সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী রাস্তাটি মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। এছাড়াও পৌরসভার মেয়র,ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অনেকবার দেখে গেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। এছাড়াও মহাসড়কে সিএনজি চলাচলের বিধি নিষেধ থাকায় ফেনী শহর থেকে প্রায় ৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা রাতদিন ২৪ ঘন্টা এই কালিপাল সড়ক দিয়ে ধাড়কোনা, সিলোনিয়া বাজার, কালিদহ বাজার, লস্করহাট, মোটবী, ভূঁঞারহাট, ফাজিলপুর, কোম্পানী বাজার, বুধবাইরা বাজারের দিকে নিয়মিত যাতায়াত করে। কিন্তু কালিপাল রাস্তার যে বেহাল অবস্থা তাতে চালকদেরকে প্রতিনিয়ত গাড়ী চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কয়েকজন ড্রাইবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের গাড়ীর চাকা দু’তিন দিনে একবার পান্সার হয়, স্ট্যাড়িংয়ের ক্ষতি হচ্ছে, স্কেল ভেঙ্গে যায়, ইঞ্জিন ও চ্যালেঞ্জারের ক্ষতি হয়। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা শুধু গাড়ী মেরামতের জন্য খরচ হয়ে যায়। এছাড়াও লালপোল আলোকদিয়া সড়ক, পশ্চিম ছিলোনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সড়ক, উত্তর গোবিন্দপুর সিলোনিয়া লালপোল সড়ক, মানিকশাহ মাজারের সড়কটি প্রায় ১৬ বছর আগে পাকা করণের কাজ হয় এখন পিচ উঠে গিয়ে অর্ধেক রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে পড়ে গেছে। যাত্রাসিদ্দি চানপুর সড়ক, হাজির বাজার সংলগ্ন ফকিরহাটের সড়ক সহ আরো অসংখ্য সড়কের পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দে বেহাল অবস্থা। এসব এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, ঠিকাদাররা নিম্মমানের কাজ করার কয়েক মাসের মাথায় রাস্তাগুলোর পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় খনাখন্দের সৃষ্টি হয় ফলে গাড়ী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অনেক রাস্তাঘাট পাকা করণের পর নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ১০ থেকে ১৫ বছরও কাজ হয়নি। ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকায় উন্নয়নে তারা জনগণের পাশে থাকবেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা এলাকার কোন কাঙ্খিত উন্নয়ন চোখে দেখিনি। স্থানীয়রা আরো জানান,এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান মেম্বাররা আন্তরিক হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়। কিন্ত তারা এসব ব্যাপারে আন্তরিক না হওয়ার কারণে জনগণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে কালিদহ ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম দিদারকে মোবাইলে বার বার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। ফেনী সদর উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জানান,গত ৫ থেকে ৬ মাস আগে কিছু গ্রামীণ রাস্তাঘাট মেরামতের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ