Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষিকার বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক স্কুল শিক্ষিকা তার স্কুলের ইমন নামে এক ছাত্রের চোখে বেত্রাঘাত করে আহত করায় বর্তমানে ওই স্কুল ছাত্র চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এনিয়ে এলাকার অভিভাবক ও সাধারণ জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ডিজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

ডিজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র আহত ইমনের মামা ইয়াদুল মমিন জানান, সোমবার দুপুরে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে ডিজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা মমতাজ বেগম সহপাঠী বন্ধুদের সাথে দুষ্টমি করার অপরাধে বেত বা ছড়ি দিয়ে স্কুল ছাত্র ইমনের চোখে আঘাত করেন। এসময় সে চোখ চেপে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পরে চোখ ফোলা অবস্থায় বাড়ি ফিরলে পরিবারের লোকজন তা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানানো হলে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দুঃখ প্রকাশ বিষয়ট নিরসন করেণ।

চোখে ঝাপসা দেখা ও চোখ ফোলা না কমায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্কুলছাত্র ইমনকে নিয়ে তার বাবা আরামত হোসেন কুষ্টিয়া আগা ইউসুফ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে তাকে ভর্তি করেছেন।

স্কুলছাত্রের চোখে বেত্রাঘাত করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডিজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনা আংশিক সত্য। স্কুলের সবচেয়ে নিরিহ সহকারী শিক্ষিকা মমতাজ বেগম নমব শ্রেণীর ছাত্র ইমনকে মারার উদ্দেশ্যে তাকে মারেনি। তারা শ্রেণীকক্ষে দুষ্টমি করছিল, এসময় শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের হাতে থাকা ছড়ি উচিয়ে সকলকে চুপ হতে বলে মারতে উদ্যত হলে অনাকাঙ্খিতভাবে ইমনের চোখে লাগে। আর এটা তেমন গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই স্কুল ছাত্রের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। চোখে আঘাতপ্রাপ্ত স্কুলছাত্র ইমনের পরে খোঁজখবর নিয়েছেন কিনা তা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, পরে আর খোঁজখবর নেওয়া হয়নি।

ডিজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আদাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এমন কোন ঘটনা ঘটেনি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভে সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এদিকে শিক্ষিকার বিচারের দাবিতে অভিবাবকরাও সোচ্চার হয়েছেন। তারা প্রধানশিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ