বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, রামপাল, রূপপুর মাতারবাড়ীর এসব প্রকল্পকে আমরা উন্নয়ন নয় বলি ধ্বংস প্রকল্প। বিশ্বদরবারে মিথ্যাচার করে আরও তিন শতাধিক, সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য, বিপজ্জনক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ জাতীয় কমিটি প্রস্তাবিত পরিবেশ সম্মত সুলভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় করার দাবি জানিয়েছেন তারা। তারা বলেন, উন্নয়নের নামে প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য জনগনের অর্থ বরাদ্দ দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এর পাশাপাশি আগামী ২২ জুন রামপাল রূপপুরসহ প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী সকল প্রকল্পবন্ধ করে জাতীয় কমিটি প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে দেশব্যাপী সভা সমাবেশ সফলের আহবান জানান তারা।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ গতকাল এক বিবৃতিতে একথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সরকার বিভিন্ন ব্যয়বহুল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, সরকার উন্নয়নের নামে এমন অনেক প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদে দেশের জন্য শুধু আর্থিক বোঝাই সৃষ্টি করবে না, প্রাণ প্রকৃতি বিনাশ করে দেশ ও জননিরাপত্তাকে বিপর্যস্তও করবে। যেমন উন্নয়নের কথা বলেই সরকার এখনও সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে। রামপাল প্রকল্প নিয়ে সরকার জনগণের কাছে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, ইউনেস্কোকে দেয়া বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে হেয় করেছে। সরকারের এই ভূমিকায় একদিকে বাংলাদেশ অরক্ষিত হচ্ছে অন্যদিকে সুন্দরবন তার বিশ্ব ঐতিহ্য মর্যাদা হারাতে বসেছে।
সরকার উন্নয়ন সাফল্যের বয়ানে যেসব প্রকল্পকে গৌরবান্বিত করছে তার মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প অন্যতম। এই প্রকল্প প্রথম থেকে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, গোপনীয়তা ও জবরদস্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি এই প্রকল্পের ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা এর খুবই ছোট অংশ।
উপরন্তু বিশ্বের পারমাণবিক শক্তির প্রথম সারির দেশগুলো যখন উচ্চ ব্যয়বহুল এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলে এই পথ থেকে সরে আসছে তখন বাংলাদেশের মানুষের ওপর ভয়াবহ ঋণের বোঝা চাপিয়ে, ঝুঁকি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত না করে, প্রকল্প সংলগ্ন কোটি মানুষকে প্রত্যক্ষ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, পদ্মা নদী এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে মহাবিপদে নিক্ষেপ করে এই ব্যয়বহুল প্রকল্প নিয়ে উচ্ছাস ছড়ানো এক নির্মম পরিহাস বলে আমরা মনে করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।