পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রস্তাবিত বাজেটকে সময় উপযোগী, অর্থবহ এবং দেশের উন্নয়নের ধারা গতিশীল রাখতে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য বাজেট বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)। আর এ বাজেট প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রোববার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানানো হয়। তবে অবহেলিত কাঁচা পাট খাতে ২৫শ’ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের দাবী জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজেএ সচিব আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ২০০ বছর পূর্ব থেকে এদেশের মাটিতে কাঁচা পাটের ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। স্বাধীনতা উত্তরকাল হতে কাঁচা পাট রপ্তানীকারকরা বিদেশে পাট রপ্তানী করে হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে জাতীয় অর্থনীতি উন্নয়নের সহযোগিতা করে আসছে এবং ব্যাংকেও হাজার হাজার কোটি টাকার সুদ প্রদান করে চলেছে। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বিদেশে কাঁচা পাট রপ্তানী করে প্রায় ১৩শ’ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ১৪ টি দেশে এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দশমিক ১৭ হাজার কোটি টাকার অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক করায় পরিবেশ বান্ধব পাটের চাহিদা বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে। তাই কাঁচা পাটকে অবহেলা বা ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই। শতভাগ রপ্তানী নির্ভর কাঁচা পাটের রপ্তানী বৃদ্ধিকল্পে বাজেটে আলোকপাত করা অপরিহার্য্য বলে বিজেএ মনে করে।
এদিকে বার বার বিদেশে কাঁচা পাট রপ্তানী বন্ধ করার ফলে রপ্তানীকারকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ব্যাংক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ছে। অন্যদিকে চক্রবৃদ্ধিহারে ব্যাংকের চড়া সুদ প্রদান, আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন সময় অর্থনৈতিক মন্দা থাকার কারনে ব্যবসায়ীরা নানা বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। একই সঙ্গে শতভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেও এই খাত কোনদিনও রপ্তানী প্রনোদনা পায়নি। তারপরও ২০১৯-২০২০ বাজেটে পাটখাত ও কাঁচা পাট ব্যবসায়ীদের সম্পর্কিত কোন বক্তব্য উপস্থাপিত হয়নি যা কাঁচা পাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানীকারকদের হতাশ করেছে। ফলে কাঁচা পাট রপ্তানীকারকগণ বিশ্ব বাজার হারাবে এবং কাঁচা পাট রপ্তানীতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কাঁচা পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণার পরও অদ্যাবধি তার বাস্তবায়ন হয়নি। অতএব কাঁচা পাট খাতকে গতিশীল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে জাতীয় বাজেটে অবিলম্বে উৎসে কর হ্রাস করে পাটখাত ও কাঁচা পাট ব্যবসায়ীদের সমস্যাবলী সমাধানকল্পে কাঁচা পাট রপ্তানীতে আর্থিক প্রনোদনা প্রদান পূর্বক কাঁচা পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণা করা এবং কাঁচা পাট খাতে ২৫শ’ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের জন্য বিজেএ জোড় দাবী জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।