পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকাগামী ৭০৬ ডাউন একতা ১ ঘন্টা ১৪ বিলম্বে জয়দেবপুর। ৭৭২ রংপুর এক্সপ্রেস ৭ ঘন্টা ১৭ মিনিট বিলম্বে মালঞ্চি। ৭৬৬ ডাউন নীলসাগর ৯ ঘন্টা ১১ মিনিট বিলম্বে পার্বতীপুর। ৭৫৮ ডাউন দ্রুতযান ১৩ মিনিট বিলম্বে ঠাকুরগাঁও। ৭৯২ ডাউন বনলতা ৩৭ মিনিট বিলম্বে মুলাডুলি। খুলনাগামী ৭৬২ ডাউন সাগরদারী ২৪ মিনিট বিলম্বে ঈশ্বরদী জংশন। ঢাকাগামী ৭২৫ আপ সুন্দরবন ৪ ঘন্টা ২৯ মিনিট বিলম্বে মির্জাপুর। পঞ্চগড়গামী ৭৯৩ আপ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ৪ ঘন্টা ১৩ মিনিট বিলম্বে আব্দুলপুর। এটা হলো ট্রেনের গতকাল শনিবার সকালের আপডেট। সিডিউল বিপর্যয় নিয়ে চলছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। এতে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে কঠোর সমালোচনা। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইঞ্জিন বিকল ও ঈদযাত্রার ফিরতি যাত্রীদের ভিড়ে চলতি সপ্তাহে ট্রেনের সিডিউলে বিপর্যয় ঘটেছে। দু’একদিনের মধ্যেই এটা ঠিক হয়ে যাবে।
এবারের ঈদ যাত্রাও শুরু হয়েছিল ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় দিয়েই। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের চারটি ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগর ও রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস চলেছে মহাবিলম্বে। ঈদযাত্রায় রওনা করে স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘরমুখী যাত্রীদের। যাত্রীদের ভিড়ে সে সময় প্লাটফরমে বসার মতো জায়গাও ছিল না। ভুক্তভোগিদের মতে, এবারের ঈদে বিলম্বিত ট্রেনের কারণে ভোগান্তি নিকট অতীতের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। তার আগে অনলাইনে ঈদের অগ্রিম টিকিট কাটতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে হাজার হাজার যাত্রীকে। রেলের ই-টিকেটিং সার্ভিস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস) এর যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে অনেকেই টিকিট কাটতে পারেন নি। যাত্রীদের ভোগান্তির কথা আঁচ করতে পেরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমনকি আগামীতে রেল টিকেটিং থেকে সিএনএসকে বাদ দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদের পরে ট্রেনের সিডিউল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু ভিড় বাড়ার সাথে সাথে ক্রমেই ট্রেনের বিলম্ব বাড়তে থাকে। এর মধ্যে নীলসাগর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে বড় ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই থেকে ঢাকা-চিলাহাটি রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনটি অস্বাভাবিক বিলম্বে চলছে। ভুক্তভোগি একজন যাত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নীলসাগর ছাড়ার কথা রাতে, সেই ট্রেন আসছে সকালে। আমি কি ভুল করলাম।’ আরেক যাত্রী লিখেছেন, ‘ট্রেনগুলো এভাবে লেট করতে থাকলে বাস মালিকদের লাভ হবে। রেল থাকবে পিছিয়ে।’
ঢাকা-রংপুর রেলপথে চলাচলকারী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভের শেষ নেই। সেই ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে এই ট্রেন চলছে অস্বাভাবিক দেরিতে। অতিষ্ঠ যাত্রীরা নিরুপায়। কারণ রংপুরের ট্রেন ওই একটাই। গতকালও এই ট্রেন সাড়ে ৭ ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করেছে। আজ রোববার অবশ্য ট্রেনটির বিরতি। সে কারণে কাল সোমবার আবার নতুন করে সঠিক সময়ে চলাচল শুরু করতে পারবে ট্রেনটি। তবে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, এই ট্রেনের কোচগুলোতে সমস্যা লেগেই থাকে। কোচ ড্যামেজের কারণে ট্রেনটি প্রায়ই দেরি করে। সঠিক সময়ে চলাচলের জন্য ট্রেনটির কোচগুলো পাল্টানো জরুরী। অবশ্য রেলমন্ত্রী ইতোমধ্যে এই ট্রেনে নতুন কোচ সংযোজনের ঘোষণা দিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে মিটার গেজের নতুন কোচ আসলেই এই ট্রেনে লাগানো হবে।
লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে এখন আন্ত:নগর ট্রেন বলতে নারাজ উত্তরের যাত্রীরা। ট্রেনটি সারা বছরই দেরিতে চলে। কোচ সঙ্কট সারলে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। আবার ইঞ্জিন ঠিক থাকলে কন্ট্রোল ট্রেনটিকে পথিমধ্যে বসিয়ে রেখে অন্য ট্রেনকে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। এমন অভিযোগ যাত্রীদের। ঈদে আগে এবং পরে একই অবস্থায় চলছে লালমনি।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো উত্তরাঞ্চলের বিরতিহীন ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেসেরও সিডিউল রক্ষা করতে পারেনি রেল। গতকাল শনিবার এই ট্রেন চলেছে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বিলম্বে। এতে করে এই ট্রেনের যাত্রীরা তো বটেই অন্য ট্রেনের যাত্রীরাও হতাশ। একজন যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে তিনি এই ট্রেনে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় গেছেন। ঢাকা থেকে ছেড়ে নাটোর পর্যন্ত যেতে এই ট্রেন ৭টি স্থানে দাঁড়িয়েছে। অথচ ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে বঙ্গবন্ধু পূর্ব সেতুতে কয়েক মিনিট দাঁড়ানোর পর একেবারে পার্বতীপুর দাঁড়ানোর কথা। ক্রসিংয়ের জন্য দাঁড়ানোর কারণে এই ট্রেনের সিডিউলও এখন বেহাল। যা কখনওই আশা করেনি কেউ। একজন যাত্রী হতাশা প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, “একটা সেমি বিরতিহীন ট্রেন চালাতেই রেল হিমশিম খাচ্ছে। অথচ আমরা স্বপ্ন দেখছি হাইস্পীড ট্রেনের। হায়রে বাংলাদেশ।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।