চট্টগ্রামের বাজারে বাজেটের তাৎক্ষণিক কোনো উত্তাপ নেই। প্রস্তাবিত বাজেটে ভোজ্যতেল, সব ধরনের দুধ, চিনিসহ কিছু ভোগ্যপণ্যের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বাজারে কোন প্রভাব দেখা যায়নি। তবে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজ আদা রসুনের ঝাঁজ।

ঈদের ছুটিতে স্থল বন্দর বন্ধ থাকায় আমদানি কম হয়েছে এমন অজুহাতে এসব পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে নেই সামুদ্রিক মাছ। পুকুর, খাল আর বিভিন্ন মৎস্য খামার থেকে আসা মাছের দামও চড়া। গোশতের দাম বরাবরের মতোই ঊর্ধ্বমুখী। কিছুটা স্বস্তি শুধু সবজিতে। গতকাল শুক্রবার নগরীর কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ছিল যথাক্রমে ২৫-৩৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের কয়েকদিন আগ থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। ঈদের পর আরও এক দফা বাড়ে পেঁয়াজের দাম। রসুন এবং আদার দামও বেড়েছে। প্রতিকেজি রসুন ১৩০-১৪০ টাকা, আদা ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের ছুটির পর স্থল বন্দর সচল হওয়ায় এসব পণ্যের দাম খুব শিগগির পড়ে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বাজারে প্রতিকেজি গরুর গোশত ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির কেজি ৪৮০-৫২০ টাকা, ব্রয়লার ১৫০-১৭০ টাকা এবং সোনালিকা ২৫০-২৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম প্রতি ডজন ৯০-১০০ টাকায় স্থির রয়েছে। প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০-২৮০ টাকা, কাতাল ২৮০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৬০ টাকা, মৃগেল ৩০০-৩২০ টাকা, সিলভার কার্প ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে ইলিশ এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকা, রুপচাঁদা ৬৫০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৈ মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা, শিং ৬০০-৭০০ টাকা এবং পাবদা মাছ ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছ না থাকায় অন্য মাছের দামও বেড়ে গেছে।

শাকসবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। কাকরোল প্রতিকেজি ১৫-২০ টাকা, পটল ২০-২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫-৩০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, তিতা করলা ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, দেশি আলু ৩৫-৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, লাউ ২০ টাকা, ঝিঙ্গে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ২০-২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, ক্ষিরা ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি টাটকা পুঁই শাক ও পাট শাক ১০ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।