Inqilab Logo

সোমবার ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রভাবশালীদের দখলে শালিখার বারাঙ্গার খাল

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৯, ১২:১০ এএম

মাগুরার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের চতিয়ার ব্রিজ থেকে সেওজগাতী, উজগ্রাম টিওরখালী হয়ে ফটকী নদীতে পতিত হয়েছে বারাঙ্গার খাল। দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার খালের প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকার প্রভাবশালিদের দখলে রয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে এই খাল দখল করে তারা বেড়িবাঁধ তৈরি করে নিয়েছে। এসব প্রভাবশালিদের ভয়ে এলাকার সচেতন মহল মুখ খুলতে সাহস পায়না। বছরের পর বছর সরকারি এই খাল দখল থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ফলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ি হুমকির মধ্যে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন প্রকার পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ।
এ ব্যাপারে ফটকী বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের রূপকার শ্রী ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, আশির দশকে এ অঞ্চলকে বন্যার কবল থেকে বাঁচাতে খালটি খনন করা হয়। তারপর কোন ভুমি জরিপ না হওয়ায় খালটি ম্যাপে নেই। সেই ওজু হাতে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালিরা দখল করে নিয়েছে। তবে চতিয়ার ব্রিজ থেকে বারাঙ্গা শ্বশ্বান পর্যন্ত খালের ওস্তিত্ব রয়েছে।

সেওজগাতী আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, খালটি দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে নেমে আশা পানি মহেশপুর-কালিগঞ্জ হয়ে ফটকী ও চিত্রা নদীতে এসে নামে। খালটি খনন খুবই জরুরি। একই সাথে সেওজগাতী ও টিওরখালীর রাস্তার ওপর নির্মিত ব্রিজ দুইটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছে। যা প্রশস্থ না করলে খাল কেটেও বন্যা সমস্যার সমাধান হবে না। পরিবেশ আন্দোলনের নেতা অধ্যক্ষ মো. নওয়াব আলী জানান, খালটি কাটা হলে খালের দুই পাশের ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদন হবে। যা এলাকার খাদ্যের চাহিদা পুরুন হবে এবং খালের পানির উৎপাদিত মাছ এলাকার আমিষের চাহিদা পুরুন করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ