Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমার কথা থাকলেও বাড়ল সোনার দাম

দেশে প্রথমবারের মতো প্লাটিনামের দর নির্ধারণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৯, ৭:২৭ পিএম

বাজেটে স্বর্ণ আমদানি শুল্কহার প্রতি ভরিতে এক হাজার টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যা স্বর্ণ আমদানিতে যেমন খরচ কমাবে। তেমনি সোনার দামও কমবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর পরই সোনার দর বেড়েছে। সাড়ে চার মাস পর বাংলাদেশের বাজারে ভালো মানের সোনার দাম প্রতি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বেড়েছে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্লাটিনামের দাম ঠিক করে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের বাজারে। ২৩ ক্যারেট প্রতি ভরি প্লাটিনাম এখন ৬৪ হাজার ১৫২ টাকায় বিক্রি হবে।

সোনার দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, সোনার দাম বিশ্ব বাজারের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ব বাজারে সোনার দাম গত ১ মাসে প্রতি আউন্সে ৭৩ ডলার বেড়েছে। সে অনুপাতে দেশে ভড়ি প্রতি ২২শ’ থেকে ২৫শ’ টাকা বাড়ার কথা। কিন্তু বাজেট এবং বাংলাদেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে বাজুস সোনার দাম কম বাড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে বাংলাদেশের বাজারে যা কার্যকর হয়েছে। প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৫১ হাজার ৩২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সোনা ৫০ হাজার ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গত ২৯ জানুয়ারি সর্বশেষ সোনার দর বাড়ানো হয়েছিল। গত বছরের ১০ জানুয়ারি ২২ ক্যারেট সোনার দর বেড়ে ৫০ হাজার টাকার উপরে উঠেছিল। পরে তা কমে ৫০ হাজার টাকার নীচেই বিক্রি হচ্ছিল। ২৯ জানুয়ারি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়নোয় তা আবারও ৫০ হাজার টাকা ছাড়ায়। গতকাল শুক্রবার থেকে তা ৫১ হাজার ৩২২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ২০১২ সালে অবশ্য এই সোনার দাম বাড়তে বাড়তে প্রায় ৬০ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল।

নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৫১ হাজার ৩২২ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪৮ হাজার ৯৮৯ টাকা। আর ৪৩ হাজার ৯৭৩ টাকায়।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৫০ হাজার ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। ২১ ক্যারেট সোনা বিক্রি হয় ৪৭ হাজার ৮২২ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হয় ৪২ হাজার ৮০৭ টাকায়। এ হিসাবে ২২, ২১ এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা করে বেড়েছে।

তবে গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলের ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিপ্রতি আগের ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকাই থাকবে বলে জানায় বাজুস।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ছয় শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে। সনাতন পদ্ধতির সোনা পুরনো অলঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রে কত শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা মিলবে তার কোনো মানদÐ নেই। অলংকার তৈরিতে সোনার দরের সঙ্গে মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) যোগ করে দাম ঠিক করা হয়।

প্লাটিনামের ভরি ৬৪১৫২ টাকা: বাজুস ২৩ ক্যারেট প্রতি ভরি প্লাটিনামের দাম ৬৪ হাজার ১৫২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্রথমবারের মতো প্লাটিনামের দর নির্ধারণ করে দিলো বাজুস। আগে কখনও বাংলাদেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম ঠিক করে দেয়া হত না। তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের এক হাজার ৫০ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে রুপা।



 

Show all comments
  • shamim ২ জুলাই, ২০১৯, ১১:১৪ এএম says : 0
    bangldesha kebol sammra (leather) o jute r dam kame r sab kicor dam bare!!!! sarkarer kicoi karara ni!!!!!!?????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ