মটর সাইকেল: নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে (নতুন বাস্তবতায়)
মটরসাইকেল নিরাপদ, অধিক সুবিধাজনক, খরচ এবং সময় বাঁচায়। গণপরিবহনে একে অন্যের গা ঘেঁষে চলাচলে প্রতিদিন
মিঞা মুজিবুর রহমান
যে কোনো দেশের জন্যই রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজনীতি সঠিক পথে চললে দেশ ও জনগণ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। আর ভুল রাজনীতি দেশকে পিছিয়ে দেয় এবং জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি করে। তবে রাজনীতির সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে রাজনীতিবিদদের জীবন দর্শন, মূল্যবোধ, যোগ্যতা ও আচরণের ওপর। তাই এক কথায় বলা চলে, রাজনীতিবিদরাই দেশের সুখ কিংবা দুঃখের কারণ। দেশের জনগণ চায় রাজনীতি সঠিক পথে চলুক। তবে এমন আকাক্ষার সাথে রাজনীতিবিদরা পা মেলাতে সমর্থ হচ্ছেন কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের রাজনীতিবিদরা তো প্রায়ই বলে থাকেন, দেশ ও জনগণের সেবার জন্যই আমরা রাজনীতি করে থাকি। ভোটের সময় তারা বেশ উচ্চকণ্ঠেই বলে থাকেন আমাকে ভোট দিয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন। কিন্তু ভোটের পরে সেবার পথে তারা কতটা চলেন? প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে জনপ্রতিনিধিদের, রাজনৈতিক নেতাদের ভুল কাজের খবর মুদ্রিত হতে দেখা যায়।
গত ৭ মে পত্রিকায় এমন একটি খবর মুদ্রিত হয়েছে। খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের পিটুনিতে আহত হয়েছেন ফেনীর পরশুরাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচএম রকিব হায়দার। ৬ মে দুপুরবেলায় উপজেলার ধনিকু- এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপন ও তার লোকজন প্রকাশ্যে ইউএনওর উপর হামলা চালায়। উপর্যুপরি কিল-ঘুষিতে আহত হন ইউএনও। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আহত ইউএনওকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তার সিটিস্ক্যান করার প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। ফলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতার এমন সন্ত্রাসী আচরণে বিস্মিত হতে হয়। এমন উদাহরণ শুধু দেশের জন্যই নয় দলের জন্যও মারাত্মক। অথচ এমন দাপট ও শক্তির মহড়া দিয়ে চলেছেন ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাই। এমন প্রবণতা আইনের শাসন, শান্তি-শৃঙ্খলা ও দলের ইমেজের জন্যও ক্ষতিকর। বিষয়টি সরকারি দলের শীর্ষ নেতাদের না বোঝার কথা নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাপট ও দৌরাত্ম্য কমার কোনো লক্ষণ নেই। আমাদের রাজনীতিবিদরা যদি দেশ ও জনগণের সেবা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিনয়ী আচরণে সমৃদ্ধ না হন তাহলে দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা ভালো আচরণে উদ্বুদ্ধ হবেন কেমন করে? আমরা জানি, দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের প্রতি জনগণের আস্থা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
এখন ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদরা যদি দাপট ও দৌরাত্ম্যের মাধ্যমে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করতে চান তাহলে তো রাজনীতির প্রতি জনগণের অনীহার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এমন পরিস্থিতি আমাদের দেশ ও রাজনীতির জন্য এক অশনি সংকেত। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা উপলব্ধি করলেই মঙ্গল।
ষ লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মিডিয়া এন্ড ম্যানেজম্যন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।