পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদ আনন্দে এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ট্যুরিস্টদের পদচারণায় মুখরিত সিলেট শহরতলির খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান। ভয়কে জয় করতে রয়েছে এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের ভয়ঙ্কর রাইড জিপ লাইন, ট্রি এ্যাকটিভিটিজ। পাশাপাশি রয়েছে স্ব-পরিবারে ৬৭৮.৮০ হেক্টর আয়তনের বিশাল উদ্যানের প্রায় ২১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ৮৩ প্রজাতির বন্য প্রাণী ঘুরে দেখার সুযোগ। সব মিলিয়ে ঈদ আনন্দে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান এখন ট্যুরিস্টদের পদচারণায় মুখর বলে জানিয়েছেন উদ্যান কর্মকর্তা আব্দুল কাদের।
ঘন গাছপালা বেষ্টিত প্রাকৃতিকভাবে তৈরি স্তব্ধ নিরিবিলি এ উদ্যানে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৩ টাকা প্রবেশ মূল্যে পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারেন। এখানে আরো দেখতে পারবেন ৬টি নয়নাভিরাম চা বাগান, প্রাকৃতিক ছড়া, বোমা ঘর (কথিত আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে ঘরে সমরাস্ত্র রাখা হতো), সারি সারি নানা প্রজাতির বাঁশ বাগান ও বিট অফিস। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বিশ্রামালয়ে রয়েছে আয়েশের ব্যবস্থা। তাছাড়া রয়েছে ট্যুরিস্ট শপ, পিকনিক স্পট, ইকো কটেজ, রেস্টিং বেঞ্চ, পার্কিং স্থান ও ওয়াশ রুম।
তবে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে প্রধান আকর্ষণ জিপ লাইন। একশত টাকায় টিকিট কেটে চড়তে হয় জিপ লাইনে। যাদের হার্ট দুর্বল তারা ছাড়া দুঃসাহসিক এ্যাডভেঞ্চাররা ভয়ঙ্কর এ রাইডে চড়ে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে পারবেন।
এদিকে যারা গহীন জঙ্গলে তাবুতে রাত যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে জিপ লাইন ও ট্রি এ্যাকটিভিটিজ রাইডে পর্যটকদের শরীরে বেল্ট বাঁধা হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় বলে দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেন। এছাড়াও বিশাল উদ্যানে নেই কোনো নিরাপত্তা। দল বেঁধে না চললে যেকোনো মুহূর্তে জীব জন্তু আক্রমণ কিংবা দুষ্ট লোকের খপ্পরে পড়ে মোবাইল ও টাকা পয়সা হারানোর ভয় রয়েছে। নিরাপদে সবকিছু ঘুরে দেখতে যদিও কর্তৃপক্ষ উদ্যানের গাইড সাথে রাখার পরামর্শ দেন।
এদিকে উদ্যানের প্রবেশের সড়ক ব্যবস্থা নাজুক। দ্রæত সড়কের উন্নয়ন প্রয়োজন। সেই সাথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার। জিপ লাইন রাইডের ফি ১০০ টাকা বেশি হয়ে যায়। অর্ধেক করার দাবি তোলেন মৌলভীবাজার থেকে আসা পর্যটক সবুজ আহমদ।
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রশাসনিক সহকারি আব্দুল কাদের বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকরা মূলত জীববৈচিত্রে ভরপুর উদ্যান দেখতে আসছেন। উদ্যানের সড়কে নতুন কালভার্ট স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে। কালভার্ট তৈরি হলে যাতায়াতের আর সমস্যা থাকবে না বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।