পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম টানা তিন মেয়াদে বাজেট ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগে কোনো সরকারই ধারাবাহিকভাবে এতগুলো বাজেট প্রণয়ন করতে পারেনি। এছাড়া ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হওয়া বাজেট প্রস্তুত ও ঘোষণায় সবার চেয়ে এগিয়েও ক্ষমতাসীনরা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশে বাজেট ঘোষণা হয়েছে ৪৭ বার। এর মধ্যে ২১টিই পেশ করেছে আওয়ামী লীগ। ধারাবাহিকভাবে একটি দল ক্ষমতায় থাকার কারণে স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ সহজ হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদগণ। শুধু তাই নয়, গত ১০ বছরে দেশে যে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে তা বাজেটের আকার দেখেই বোঝা সম্ভব বলেও মত তাদের।
বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেটও ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর বর্তমান চলতি বছর আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল দেশের ৪৮তম বাজেট উপস্থাপন করেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের এটা ১৭’তম বাজেট। দেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিলো ৭৮৬ কোটি টাকা। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর নতুন অর্থবছরের বাজেট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দেশ-কালের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকার বজেট দিয়ে যাত্রা শুরু হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহজোট সরকারের। এর পর নবম ও দশম সংসদের পুরো মেয়াদে মোট ১০টি বাজেট ঘোষণা করেন দুই মেয়াদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১০ বছরে দেশের বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ গুণ। এ থেকেই বোঝা যায় বাংলাদেশে এ ১০ বছরে ৫ গুণ উন্নতি হয়েছে। বর্তমান মেয়াদে বাংলাদেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, এবারের বাজেটে ঋণের বোঝা নেই। বাজেট হয়েছে বাস্তবসম্মত ও গণমুখী। এই বাজেট দেশের সাধারণ জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। প্রবীণ এই নেতা আরও বলেন, এই বাজেটে গত এক বছরের সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আমরা আশা করছি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নয়, তিনি দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছেন তার ভিশনারি লিডারশিপের জন্য। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে বজেটের শুধু আকারই বৃদ্ধি পায়নি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। এবারের বাজেটের মধ্য দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা দেখবে বিশ্ববাসী।
বাজেটের বিষয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসা শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ১০ বছরে ৫ গুণ বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে, এ থেকে বোঝা যায় দেশের উন্নয়নের গতিও ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে যে অভাবনীয় উন্নতি হচ্ছে, বাজেটের আকারই বলে দিচ্ছে তা।
একাত্তরের পর মোট ১২জন অর্থমন্ত্রী বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেছেন আর ১৩তম ব্যক্তি হিসেবে আ হ ম মোস্তফা কামাল বাজেট পেশ করেন। তাজউদ্দীন আহমদ ছাড়া বাকিরা ছিলেন হয় অবসরপ্রাপ্ত আমলা, অথবা অর্থনীতিবিদ বা ব্যবসায়ী। কেউই ফুলটাইম রাজনীতিবিদ ছিলেন না।
১২টি করে বাজেট দিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন বিএনপি সরকারের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ ও এরশাদ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঘোষিত ৪৭টি বাজেটের মধ্যে চার মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের চারজন অর্থমন্ত্রী মোট ২০টি বাজেট দিয়েছেন। এরা হলেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, ডক্টর এ আর মল্লিক, এএমএস কিবরিয়া ও আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর চলতি বাজেট পেশ করছেন আওয়ামীলীগের আ ফ ম মুস্তফা কামাল।
তিন মেয়াদের শাসন আমলে বিএনপির তিনজন ১৬টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এরা হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ড. মীর্জা নুরুল হুদা ও এম সাইফুর রহমান। জাতীয় পার্টির ৯টি বাজেট চারজন অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত, এম সাইদুজ্জামান, এমএ মুনিম, ড. ওয়াহিদুল হক। দুই তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দুইজন অর্থ উপদেষ্টা ২টি বাজেট দিয়েছেন । এরা হলেন, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং ড. এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।