পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান। এই অর্থের পুরোটাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সংগ্রহ করতে হবে। চলতি অর্থবছরের (২০১৮-২০১৯) মূল বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য ওই রাজস্বের মধ্যে রয়েছে এনবিআরের ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত করব্যবস্থা থেকে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সেবার ফি, হাসপাতালের টিকিট মূল্য, সেতুর টোলসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের বাইরে আগামী অর্থবছরে বিদেশ থেকে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার আশা করছে সরকার। অনুদান যেহেতু ফেরত দিতে হয় না, তাই এ পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেলে মোট আয় দাঁড়াবে তিন লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা অনুদানের আশা করলেও বাজেট সংশোধনকালে তা কমিয়ে তিন হাজার ৭৮৭ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়।
বড় আকারের বাজেট বাস্তবায়নে রাজস্ব আদায়ের ওপর জোর দেওয়া হলেও নতুন বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই এবারের বাজেটে বিত্তশালীদের কাছ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে সারচার্জ আদায়ে নতুন কৌশল নেয়া হয়েছে।
এজন্য আসছে বাজেটে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বড় সংস্কারে কথা উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। এ জন্য ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে নতুন ভ্যাট আইন। রাজস্ব আদায় বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আরও শক্তিশালী করা হবে। আউটসোর্সিং করে বাড়ানো হবে এর জনবল।
এদিকে সম্পদ কর আইন কার্যকর না থাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকা বিত্তশালীরা তেমন কোনো আয় প্রদর্শন করেন না। আর তাই এবার বিত্তশালীদের কাছ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সারচার্জ আদায়ে নতুন কৌশল নেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে সম্পদ কর আইন কার্যকর নেই। সম্পদ করের পরিবর্তে ব্যক্তিশ্রেণির বিত্তশালী করদাতারা তাদের প্রদেয় আয়করের একটি নির্দিষ্ট হারে সারচার্জ দিয়ে থাকেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এ বিধান কার্যকর আছে।
‘আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, অনেক বিত্তশালী করদাতার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। কিন্তু তারা তেমন কোনো আয় প্রদর্শন করেন না। ফলে প্রদেয় আয়কর কম হওয়ায় তাদের তেমন কোনো সারচার্জও প্রদান করতে হয় না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৫০ কোটি বা তার অধিক নিট সম্পদ রয়েছে এমন করদাতাদের নিট সম্পদের ওপর দশমিক ১ শতাংশ অথবা প্রদেয় করের ৩০ শতাংশের মধ্যে যেটি বেশি সে পরিমাণ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করছি’- উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
সারচার্জে এ কৌশলের পাশাপাশি সারচার্জ আরোপের নিম্নসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার ওপর নিট সম্পদ থাকলে সারচার্জ প্রদান করতে হয়। সারচার্জ আরোপের এ নিম্নসীমা বৃদ্ধি করে তিন কোটি টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
এদিকে নিট পরিসম্পদের মূল্যমান তিন কোটি টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম সারচার্জের পরিমাণ তিন হাজার টাকা এবং ১০ কোটি টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম সারচার্জের পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকা প্রদানের বিধানটি অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে।
একই সঙ্গে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারি করদাতার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের ওপর বিদ্যমান ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সারচার্জও বিগত বছরের ন্যায় অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।