Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম হচ্ছে ৯ টাকা, বেনসন ২০, গোল্ডলিফ ১৬

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৯, ৪:১১ পিএম

২০১৯-২০ জাতীয় বাজেটে তামাকপণ্যে শুল্ককর বাড়ানোর মাধ্যমে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম ৯ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ জাতীয় সংসদে ঘোষিত হতে যাওয়া বাজেটকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে সম্প্রতি লেখা এক চিঠিতে এ প্রস্তাব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

চিঠিতে আসন্ন বাজেট সামনে রেখে সিগারেটসহ সবধরনের তামাকজাত পণ্যের ওপর বিদ্যমান করকাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে বাজারে চলমান প্রতিটি কম দামের সিগারেটে কমপক্ষে চার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। একই সঙ্গে বেনসন ও গোল্ডলিফসহ সমমানের ব্র্যান্ডের প্রতিটি সিগারেটের দাম বাড়বে অতিরিক্ত আট টাকা।

বর্তমানে বাজারে প্রতি সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম পাঁচ টাকা ও উচ্চস্তরে প্রতি সিগারেট ১২ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে এক শলাকা বেনসনের দাম ২০ টাকা এবং গোল্ডলিফের দাম ১৬ টাকা হতে পারে।

চিঠিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাব বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশে গড়তে তামাকের করকাঠামো পরিবর্তন করে বিশেষ করে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুটি করার পাশাপাশি ১০ শলাকা সিগারেটের ওপর সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত পাঁচ টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সিগারেটে করারোপের ক্ষেত্রে বর্তমান নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে একটি এবং উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরকে একত্রিত করে আরেকটি স্তর করতে বলা হয়েছে। নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য কমপক্ষে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার পাশাপাশি সব সিগারেটের প্রতি শলাকার ওপর পাঁচ টাকা হারে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে।

এই প্রস্তাবে বিড়ির ক্ষেত্রে মূল্য বিভাজন তুলে দিয়ে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৮ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং চার টাকা ৮০ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে প্রস্তাবে ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির মতোই খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ, প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার মূল্য ৩৫ টাকা এবং গুলের দাম ২০ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া জর্দার ওপর পাঁচ টাকা এবং গুলের ওপর তিন টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্প আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার চিঠিতে বলেছেন, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর বর্তমান করকাঠামো অত্যন্ত জটিল ও তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে এ ধরনের করকাঠামো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সিগারেটে বহুস্তর বিশিষ্ট করকাঠামো চালু থাকায় বাজারে অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য সিগারেট পাওয়া যাচ্ছে। ধূমপান ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে ভোক্তা কমদামি সিগারেট বেছে নিচ্ছে। করের ভিত্তি এবং হার খুবই কম হওয়ায় বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য জর্দা ও গুল সহজলভ্য থেকে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • israt ১৩ জুন, ২০১৯, ৪:২৪ পিএম says : 4
    pls make price higher so that easily cannot get or cannot get many. also take fine if anyone smoke on the road. and take tax whoever sales it.
    Total Reply(0) Reply
  • mustafiz ১৬ জুন, ২০১৯, ১১:৪৬ এএম says : 1
    এটা ভালো একটা পদক্ষেপ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় বাজেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ