Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে

বাড়িঘরে আগুন, দোকানঘর জবরদখল

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৯, ১১:২৯ পিএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক শতাংশ জমির উপড় নির্মিত দোকানঘর জোরপুর্বক দখলে নিতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা শসস্ত্র অবস্থায় এক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে প্রতিবাদ করায় ওই মুক্তিযোদ্ধাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আরো চার সদস্যকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীরা দিনে-দুপুরে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে দোকানঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের কুড়িয়াইল এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক জানান, তার বাড়ি কুড়িয়াইল এলাকায়। তিনি আতলাপুর বাজার এলাকার এক শতাংশ জমির উপড় দোকানঘর নির্মাণ করে বাপ-দাদার আমল থেকে ভোগদখল করে আসছেন। বর্তমানে দোকানঘর ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এ ভাড়ার টাকায় তার সংসার চলে।
একই এলাকার প্রতিপক্ষ মাওলা ও নাঈম ওই দোকানঘরের মালিক দাবি করে দীর্ঘ দিন ধরে জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। গত ৩১শে মে দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের প্রথম স্ত্রী অজুফা বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মজিদা বেগমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামী শাহজালাল জামিনে বেরিয়ে আসার পরই মাওলা ও নাঈমের নেতৃত্বে মাসুদ, নিশুক,শামিম, মাসুম, শাহজালাল, সুমনসহ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের একদল ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত সোমবার দুপুরে প্রকাশে দিবালোকে বাড়িতে প্রবেশ করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। বাঁধা দিলে ফের প্রথম স্ত্রী অজুয়া বেগম, দ্বিতীয় স্ত্রী মজিদা বেগম, মেয়ে মাকসুদা, ও সম্পাকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলা ও ভাংচুরের ঘটানো হয়েছে। পরে সন্ত্রাসীরা দোকানঘরের ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দিয়ে বের করে দেয়। পরে ওই দোকানঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের ছেলে রাজু প্রধান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের সংবাদে মঙ্গলবার দুপুরে সন্ত্রাসীরা ফের শসস্ত্র অবস্থায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে প্রবেশ করে প্রকাশে দিবালোকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া একটি মটরসাইকেলেও আগুন দেয় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। খবর পেয়ে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে।
এ দিকে, এ ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রকাশে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে ফের হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের পরিবারের সদস্যরা। তারা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত নাঈম ও মাওলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ