পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপকভাবে এগিয়ে গেছে। কাজেই আমাদের আর্থিক সামর্থ্যও আগের তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণে এবার আগের তুলনায় অনেক বেশিসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আমরা এমপিওভুক্ত করতে পারব বলে আশা করছি। প্রত্যেক সংসদ সদস্যের এলাকার মধ্যে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভালো পারফর্ম করছে, সেগুলোকে অবশ্যই তারা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য গোলাম খন্দকার প্রিন্সের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে সম্পূরক প্রশ্নে প্রিন্স সরকারের নীতিমালা পরিবর্তন করে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশের আলোকে এমপিওভুক্তির দাবি জানালে মন্ত্রী তা নাকচ করে দেন।
ওই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি দলীয় বিবেচনাকে কিভাবে অপব্যবহার করে যোগ্যতাকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে! মান ও গুণের প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ন্যক্কারজনকভাবে সব ক্ষেত্রে দলীয়করণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার জনগণের অধিকারের বিষয়ে সচেতন। আমরা যোগ্যতাকেই মাপকাঠি হিসেবে ধরছি।
নতুন এমপিওভুক্তির প্রসঙ্গ টেনে দীপু মনি বলেন, দুর্গম অঞ্চল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও নারী শিক্ষাসহ কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালায় নেই। আর নীতিমালার বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ মনে হয় না সরকারের মন্ত্রী হিসেবে আমার আছে। নীতিমালার মধ্যে থেকে আমরা সর্বোচ্চসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে পারব বলে আশা করছি।
এমপিও শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে পুনরায় যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ওইসব প্রতিষ্ঠানের দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যারা যোগ্যতা অর্জন করতে এখনো পারেনি, আপনারা সহযোগিতা করলে তারাও যোগ্যতা অর্জন করে পরের বার নিশ্চয়ই এমপিওভুক্তি হতে পারবে। নতুন এমপিওভুক্তির জন্য অতীতের মতো আর ১০ বছর অপেক্ষা করার দরকার হবে না বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।