পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজেট মানেই আতঙ্ক, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি। জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধিতে গৃহিণীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভাবনা। প্রস্তাবিত বাজেট না পড়েই ক্ষমতাসীন দলের উল্লাস; বিরোধী দলের ‘মানুষ মারার বাজেট’ স্লোগান। তবে এবার কিছুটা হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যতিক্রম থাকছে। গণমানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই প্রণয়ন করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেট। থাকছে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব, জনকল্যাণমুখী নানা উদ্যোগ ও নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের একগুচ্ছ প্রস্তাবনা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এবারের বাজেট বক্তৃতার নামকরণ করা হয়েছে, ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন বাংলাদেশের, সময় এখন আমাদের।’ বাজেট পেশের দিন বক্তৃতাসহ ১২টি বাজেট ডকুমেন্ট সংসদ সদস্যের হাতে দেয়া হবে। তবে ইংরেজি-বাংলা মিলিয়ে বাজেট ডকুমেন্টসের সংখ্যা হতে পারে ২৬টি। আগামী শুক্রবার বিকেল ৩টায় বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের বাজেট বক্তৃতা অনেকটাই সংক্ষিপ্ত হবে। যার আভাস অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগেই দিয়েছিলেন। বক্তৃতা ছোট হলেও বাজেট উপস্থাপনকালে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করে তা অনুমোদন নেয়া হবে। অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় জাতীয় সংসদের স্পিকারের মাধ্যমে দেশবাসীকে বিভিন্ন বিষয়ে আশ্বস্ত করবেন। অর্থমন্ত্রী কর আদায়ে কর দাতাদের হয়রানী না হওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করে এর আগে বলেছেন, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়লেও কর হার বাড়বে না, শুধু করের আওতা বাড়বে। যারা আগে কর দিতেন তারা এখন কম কর দেবেন আর যারা কর দিতেন না তাদের করের আওতায় আনা হবে। কর দেয়ার উপযুক্ত সবাইকে করের আওতায় এনে রাজস্ব আয় বাড়ানো হবে। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়টি উল্লেখ থাকবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সরকারের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে যেসব খাতে ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ব্যাংকিং খাত, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্র ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। তবে সামগ্রিকভাবে করমুক্ত রাখা হবে জনগণকে। এতে আরও ঘোষণা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো উদ্যোগ থাকবে বেকারদের জন্য ঋণ তহবিল (স্ট্যাট আপ ফান্ড)। এ তহবিল থেকে স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে ব্যবসা কবতে পারবেন বেকাররা। এ ছাড়া কৃষকের জন্য ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে চালু করা হবে শস্যবীমা। প্রাথমিকভাবে বেছে নেয়া হবে একটি জেলাকে। পরবর্তী সময়ে এটি ছড়িয়ে দেয়া হবে সারা দেশে। এ ছাড়া নতুন উদ্যোগের মধ্যে থাকছে প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধা।
বর্তমানে বিদেশে ৭০-৮০ লাখ প্রবাসী অবস্থান করছেন। আর প্রতিবছর নতুন করে দেশের বাইরে চাকরিতে যাচ্ছেন ৫-৭ লাখ মানুষ। এদের বীমা সুবিধার আওতায় আনা হবে। কারণ অনেকে বিদেশে গিয়ে চাকরি হারাচ্ছেন, দুর্ঘটনায় পঙ্গু ও নিহত হচ্ছেন। এ ছাড়া নানাভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরছেন। এসব ঝুঁকির কারণেই তাদের বীমার আওতায় আনা হবে।
প্রথম বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যা সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করবে। নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ থাকবে। নতুন করে কারও ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না। তবে করের আওতা বাড়ানো হবে। সার্বিকভাবে বাজেট এক বছরের আয় ও ব্যয়ের হিসাব। কিন্ত এর মধ্যে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিষয়টি মাথায় রেখে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। মূলত এতে ৪১’ সালের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেয়া হয়েছে। কারণ ওই সময়ের মধ্যে জাতির জনকের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বর্তমান সরকারের।
এছাড়া আসন্ন বাজেট সহজ ও বোধগম্য হবে। এবারের বাজেট নতুনভাবে যেন সবাই বুঝে সেদিকে লক্ষ্য রেখে নতুনত্ব আনা হবে। তিনি বলেন, আমরা এবার বাজেটটিকে উপস্থাপন করব খুব সংক্ষিপ্ত আকারে এবং সহজবোধ্যরূপে, যাতে করে বাজেটটি সকলের বোধগম্য হয়। যাদের জন্য বাজেট সেই সর্বস্তরের মানুষ যাতে সহজে বাজেটটি বুঝতে পারে। বাজেট দেখলেই যেন তাদের কাছে দুর্বোধ্য বা ভীতিকর কিছু মনে না হয়।
মোট ব্যয় : আসন্ন বাজেট প্রস্তাবে মোট ব্যয় চূড়ান্ত করা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি বাজেটের আকার হচ্ছে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ছে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। এ ব্যয়ের বড় একটি অংশ যাবে পরিচালন খাতে। এতে ব্যয় হবে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে আবর্তক ব্যয় হবে দুই লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। যার একটি বড় অংশ ব্যয় হবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে। আগামী অর্থবছরে এডিপি খাতে ব্যয় হবে দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা। আবর্তক খাতের আরও একটি অংশ ব্যয় হবে সুদ পরিশোধে। অর্থাৎ বিদেশ থেকে নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় করা হবে ৪ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ করা হবে ৫২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।
ব্যয়ের আরেকটি খাত হচ্ছে এডিপিবহির্ভ‚ত প্রকল্প। এ খাতে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি স্কিমে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। আর কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি মূলধনী খাতে ব্যয় হবে ৩২ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা, খাদ্য হিসাবে ৩০৮ কোটি টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিম খাতে ব্যয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ৯৩৭ কোটি টাকা।
মোট আয় : বাজেট প্রস্তাবে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ আয় হবে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান। চলতি বছর মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তাব করা হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ১০৩ কোটি টাকা, এটি জিডিপির ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে এনবিআর কর রাজস্ব পরিমাণ ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। এনবিআরবহির্ভ‚ত কর রাজস্ব পরিমাণ ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। কর ব্যতীত আয় হবে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ আগামী বছরে দাঁড়াবে চার হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি অবকাঠামো : বাজেট ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বৈদেশিক সূত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ২ দশমিক ১ শতাংশ, অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থা ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভ‚ত খাত থেকে ৩০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা যা জিডিপি’র ১ দশমিক শূন্য শতাংশ। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের মতো এবারও বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশ থাকবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।
সম্পূরক বাজেট : বিগত সময়ে গৃহীত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনবল ও কর্মপদ্ধতিতে ব্যাপক সংস্কার সাধন এবং অর্থনৈতিক অবস্থার সৃদৃঢ় অবস্থানে থাকবে ধরে নিয়ে চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ ও ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও রাজস্ব আয় প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম হবে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত আহরিত রাজস্বের পরিমাণ ছিল মূল বাজেটের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। একই সময়ে সরকারি ব্যয় হয় বার্ষিক বরাদ্দের ৪৪ দশমিক শূন্য শতাংশ। বাজেট বাস্তবায়নের এই পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে যে সংশোধন ও সমন্বয় করতে হয়েছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ বাজেট ডকুমেন্টসে থাকবে। জানা গেছে, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বার্ষিক বরাদ্দ ব্যয়ের উন্নতির কথা শুনিয়ে বলবেন, আনন্দের বিষয় হলো যে পাইপলাইনে থাকা বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ায় চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত প্রকল্প সাহায্যের ব্যবহার হয়েছে বার্ষিক বরাদ্দের প্রায় ৬১ দশমিক ১ শতাংশ, বিগত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২০ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করছে সরকার। এ ছাড়া নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করেছে সরকার। ইতোমধ্যে ভ্যাট এবং আয় কর থেকে রাজস্ব বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে নতুন অর্থবছর দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া নতুন বাজেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রতিফলন থাকবে। আর বেশি মনোযোগ থাকবে নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে। দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তর করার ঘোষণা থাকছে। এতে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হবে গ্রামকে। যেখানে ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে। আমার গ্রাম আমার শহর-এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব থাকবে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের। তবে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হবে।
আসন্ন বাজেটে আট দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছর আট দশমিক ১৩ শতাংশ অর্জন হবে- এমন প্রত্যাশা থেকেই আগামী অর্থবছরের এ লক্ষ্য স্থির করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদার পাশাপাশি রফতানি ও রাজস্ব আয়ের গতিশীলতার কারণে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সহায়ক হবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। যা প্রবৃদ্ধি অর্জনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
নতুন বাজেটে ভ্যাট খাতে বড় সংস্কার হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে বহুল আলোচিত ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি কার্যকর হলে আগামী বছর রাজস্ব আয়ে গতি আসবে। তবে নতুন আইনে কোনো পণ্যের ওপর ভ্যাট ও করহার বাড়বে না। বরং কমতে পারে। আইনটি বাস্তবায়নে কাউকে হয়রানি ও কষ্ট দেয়া হবে না- এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নিজেই।
এ ছাড়া ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হবে না। কারণ এটি করলে অনেকে করের আওতার বাইরে চলে যাবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ২০১৯ সালের মধ্যে কর জিডিপি অনুপাত ১৫ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত করা।
এদিকে বর্তমান সরকারের প্রথম বাজেটে (২০১৯-২০) বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা। প্রায় ১৩ লাখ গরিব মানুষকে নতুনভাবে এ সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। এতে সুবিধা পাবেন প্রায় ৮৯ লাখ গরিব মানুষ। যা চলতি বাজেটে ছিল প্রায় ৭৬ লাখ। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগামী বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে পাঁচ হাজার ৩২১ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।