রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার একটি চরের নাম ঢালচর। ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে উপজেলার সর্ব দক্ষিণে রাক্ষুসে মেঘনার বুকে গঠিত হয় ঢালচর ইউনিয়ন। প্রায় ২ শত বছর আগে মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠে চরটি। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে শুরু হয় বসতী। একসময় এই ঢালচর মৎস আহরনের জন্য বিখ্যাত স্থান হিসেবে নামঢাক ছিল। ঢাকা চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস ব্যবসায়ীরা জেলেদের দাদন দিয়ে মাছ নিয়ে দেশ বিদেশে রফতানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করত। কিন্তু রাক্ষুসি মেঘনার ভাঙনের কারনে ঢালচর এখন দারিদ্রতার হাহাকার এলাকা। এখানের অধিকাংশ পরিবারগুলোই হতদারিদ্র। বিগত ১৭ বছরের অব্যাহত ভাঙনে উত্তাল মেঘনার গহ্বরে বিলীন হয়েছে এ জনপদের অনেকাংশই। তীব্র ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়েছে অনেকে। নিজের শেষ সম্বল হারিয়ে এ জনপদ ত্যাগ করেছেন অনেক পরিবার। আবার কেউ কেউ নিজের ভিটে মাটি নদীর মাঝে বিলীন হওয়ার পর আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে, ঝুঁপরি ঘরে ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে। তবুও এ জনপদের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা স্বপ্ন দেখে এখানেই থাকার।ঢালচরের বাসিন্দা মোস্তফা মুন্সি,আজগর মিয়া, মো. ফিরোজ, সাইফুল ইসলাম, তাসনুর বেগম বলেন, এখানে প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে জীবন-যাপন করছি। তবে বিগত কয়েক বছরের ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এ চরের অনেকাংশ এলাকা। ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে বসত ভিটা, ফসলী জমি, আশ্রয় কেন্দ্র, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদসহ সরকারি বহু স্থাপনা। মাছ ব্যবসাযীরাও এখন আর আসেনা। যার ফলে অনেকেই এখান থেকে চলে গেছে অন্যত্র। যদি খুব শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে পুরো ঢালচরই নদীর মাঝে বিলীন হয়ে যাবে। তাই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে স্থানীয় অসহায় বাসিন্দারা।ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় এম পির মাধ্যমে অনেক তদবীর করেছি কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি এখনও। কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। আমি দাবি করছি দ্রুত যেনো ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও যাদের ঘর-বাড়ি ও জমি নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে তাদের জন্য যেনো ভূমি ও আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করা হয়।
এব্যাপারে ভোলা পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম জানান, ঢালচরের ভাঙন রোধে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রকল্পটি পাশ হলে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। এরপর আর ঢালচরের ভাঙন থাকবে না। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি সাবেক উপ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, ঢালচর ভাঙনরোধে একটি প্রকল্প র্কতৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।